সাকিবের সতীর্থ এবার মমতার মন্ত্রী

মনোজ তিওয়ারি হলের মন্ত্রীছবি : টুইটার

এই তো কিছুদিন আগেই মাঠের মানুষ ছিলেন। মাঠেই কেটে যেত দিনমান। এখনো মাঠেই আছেন, তবে ক্রিকেট মাঠ নয়, রাজনীতির ময়দানে। প্রথমবার নির্বাচনে জিতে এবার মন্ত্রীও হলেন। বাংলা, কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি আজ মন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন মন্ত্রিসভায়। আজই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি।

আজ কলকাতার রাজভবনে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সরকার নতুন করে শপথ গ্রহণ করেছে। করোনার কারণে সীমিতসংখ্যক অতিথি নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। কয়েকজন মন্ত্রী ভার্চুয়ালি শপথ গ্রহণ করেন। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে সাকিব আল হাসানের সাবেক সতীর্থ মনোজ তিওয়ারি বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকেই গুঞ্জন ছিল তিনি মন্ত্রী হচ্ছেন। জানা গেছে, তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর সামলাবেন। এর আগে এই দপ্তর সামলেছিলেন আরেক বঙ্গ অধিনায়ক, কেকেআর ও ভারতের আরেক সাবেক ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা।

আপাতত নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাসই করতে পারছেন না মনোজ, ‘এতজন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য থেকে মন্ত্রী নেওয়া হয়েছে মাত্র ৪৩ জনকে। এর মধ্যে আমি আছি। এটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া। এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যে দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আমাকে ভেবেছেন, সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

ক্রিকেটকে এখনো পুরোপুরি বিদায় বলেননি মনোজ। তবে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে যাওয়া মানে যে তাঁর মাঠে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা, সেটি জানা কথাই। তবে মনোজ নিজে মানতে নারাজ যে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে, ‘আমি তো এখনো অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। হয়তো সামনে মাঠে নামব। তবে মন্ত্রিত্ব অনেক বড় দায়িত্ব। অনেক কঠিন দায়িত্ব। এত কাজ সামলে ক্রিকেট মাঠে নামার সময় থাকবে কি না, সেটা জানি না। দেখা যাক, আপাতত সামনে তো কোনো খেলা নেই।’

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি আজ মন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন মন্ত্রিসভায়
ছবি : টুইটার

খেলার মানুষ তিনি, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হয়ে সেটির উন্নতিই হবে তাঁর মূল কাজ। পশ্চিমবঙ্গের খেলাধুলা উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আগে মনোজের লক্ষ্য করোনার বিরুদ্ধে সপাটে ব্যাট চালানো, ‘খেলার মাঠের মানুষ আমি। অবশ্যই খেলাধুলার উন্নয়নে কাজ করব। সেটিই লক্ষ্য আমার। তবে এ মুহূর্তে খেলার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ করোনা মোকাবিলা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে করোনাকে সুইপ করে তাড়াতে চাই। এটাই এখন মূল লক্ষ্য। প্রধান কাজ।’