সুযোগ পেলে আইপিএলেও ফাটিয়ে দেবেন পূজারা

ভারতের ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারা
ছবি: টুইটার

তাঁকে ছাড়া ভারতের টেস্ট দল কল্পনা করা একটু কঠিনই। আক্রমণাত্মক মনোভাবের ব্যাটসম্যানদের ভিড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে নির্ভরতার প্রতীক চেতেশ্বর পূজারা। ভারতের সদ্য অস্ট্রেলিয়া জয় করে আসাতে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। চার টেস্টের সিরিজে ২৭১ রান করে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান স্কোরার হয়েছেন পূজারা। ব্রিসবেনের গ্যাবায় পঞ্চম দিনে প্রতিকূল পরিবেশে তাঁর ২১১ বলে ৫৬ রানের ইনিংসটি পেয়েছে ক্রিকেট–পণ্ডিতদের প্রশংসা। তবে ভারতের ব্যাটসম্যান শুধু টেস্ট বিশেষজ্ঞে নিজেকে আটকে রাখতে চান না।

টেস্টের বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যাওয়ার কারণেই হয়তো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তেমন কদর নেই পূজারার। তাঁর নিজের দেশের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আইপিএলের কথাই ধরুন, মারকুটে ব্যাটসম্যানদের ভিড়ে ঠাঁই নেই পরিপাটি এ ব্যাটসম্যানের। ২০১৪ সালের পর আর ভারতের ঘরোয়া এ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলা হয়নি পূজারার।

পূজারা।
ছবি: এএফপি

তবে আইপিএলে সুযোগ পেলে এখানেও ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী পূজারা। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি আইপিএলের অংশ হতে চাই। সুযোগ পেলে এখানেও আমি ভালো করতে পারব বলে মনে করি। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া আইপিএলে এখন পর্যন্ত তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন পূজারা। ২০১০ সাল পর্যন্ত খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। এরপর নাম লিখিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। দলটিতে তিনি খেলেছেন ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। ২০১৪ সালে নাম লেখান কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে। কিন্তু এক মৌসুম খেলার পরই তাঁকে ছেড়ে দেয় দলটি। তারপর থেকে প্রতিবারই অবিক্রীত থেকে যাচ্ছেন পূজারা।

আইপিএলের দলগুলো তাঁকে না কিনুক, পূজারা নিজের খেলার ধরন নিয়ে খুশি। আর নিজেকে নিখুঁত একজন টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়ে তুলতে পারার পেছনে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলদের মতো আক্রমণাত্মক মনোভাবের সতীর্থদের অবদান দেখছেন পূজারা। সম্প্রতি ভারতের একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পূজারা বলেছেন, ‘রোহিত ও গিল দুজনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান। এটা আমাকে একদিক থেকে সাহায্যও করে। জুটির একজন যদি বোলারকে মেরে খেলে, তাহলে আমার নিজের খেলাটা খেলতে সুবিধা হয়।’

ক্যারিয়ারের শুরুতেও এই সুবিধা পেয়েছেন বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন পূজারা, ‘আমি বীরুর (বীরেন্দর শেবাগ) ব্যাটিং করেছি। তিনি তো প্রতিপক্ষকে সব সময়ই চাপে ফেলে দিতেন। জুটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটা (একজন রক্ষণাত্মক আর আরেকজন আক্রমণাত্মক খেলা) ভালো একটা উপায়।’