সেই সবুজই হঠাৎ মরণফাঁদ

আজ দুই ইনিংস মিলিয়ে উইন্ডিজের ১৫ উইকেটের পতন দেখেছে হ্যামিল্টন টেস্ট।ছবি: এএফপি

উইকেট দেখলেই দুই দলের ব্যাটিং-সামর্থ্যের পরিচয় বোঝা যায়। সেডন পার্কের বাইশ গজ যেন গোচারণভূমি! পুরোটাই সবুজ ঘাসে ভরপুর। সবুজ মাঠ আর উইকেট আলাদা করাই দুঃসাধ্য। তবে যতটা ভাবা হয়েছিল, তেমন আচরণ করেনি উইকেট। ব্যাটিং যে খুব কঠিন ছিল অন্তত নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস দেখে তা বোঝা যায়নি। ৭ উইকেটে ৫১৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু তারপর? ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেখে মনে হবে, এমন উইকেটে খেলা যায়?

নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে একাই ২৫১ রান করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কাল দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আজ টেনেটুনে দুই ইনিংস মিলিয়ে উইলিয়ামসনের রান টপকে যেতে পেরেছে। প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে সফরকারী দল। ফলোঅনে নেমেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ৬ উইকেটে ১৯৬ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা।

হাতে ৪ উইকেট রেখে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ১৮৫ রানে পিছিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অলৌকিক কিছু না ঘটলে কাল ইনিংস ব্যবধানে হারই যে জেসন হোল্ডারদের নিয়তি, সে কথা না বললেও হয়।

কাল বিনা উইকেটে ৪৯ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল ক্যারিবীয়রা। আজ দুই ইনিংস মিলিয়ে তাদের ১৫ উইকেটের পতন দেখেছে হ্যামিল্টন টেস্ট। প্রথম ইনিংসে শেন ডরউইচ আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। ব্যাটিংয়ে নামেননি। তবে ম্যাচটা হয়তো আজই শেষ হয়ে যেত, যদি সপ্তম উইকেটে ১০৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি না গড়তেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও আটে নামা পেসার আলজারি জোসেফ। ব্ল্যাকউড (৮০*) তবু ব্যাটিং পারেন কিন্তু আলজারির কাছ থেকে ৫৯* রানের ইনিংস দেখা মোটামুটি অবিশ্বাস্যই।

ব্ল্যাকউডই (বাঁয়ে) শুধু কিউই পেসারদের সামলাতে পারছেন।
ছবি: এএফপি

প্রথম ইনিংসে কিউই পেসারদের কাছে পাত্তা পায়নি ক্যারিবীয়রা। ৯ উইকেট ভাগ করে নেন টিম সাউদি (৪/৩৫), কাইল জেমিসন (২/২৫), নিল ওয়াগনার (২/৩৩) ও ট্রেন্ট বোল্ট (১/৩০)। পরের ইনিংসে এই চার পেসারের সঙ্গে ড্যারিল মিচেলকেও কাজে লাগান উইলিয়ামসন। সুইং ও পেসে নাকাল হয়ে ৮৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল হোল্ডারের দলের। ব্লাকউড-আলজারি রুখে না দাঁড়ালে কাল চতুর্থ দিনে হয়তো মাঠে নামতে হতো না দুই দলকে।