সেঞ্চুরিটা হলো না তামিমের

৯০ রানে ফিরলেন তামিম ইকবালছবি: এএফপি

আগের বলেই বিশ্ব ফার্নান্দোকে দারুণ এক কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরেছিলেন তামিম ইকবাল। নিজের সংগ্রহটাকে নিয়ে গিয়েছিলেন নব্বইয়ের ঘরে। কিন্তু পরের বলেই ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বলটিকে তাড়া করতে গিয়ে আউট তামিম। যারা তাঁর একটি টেস্ট সেঞ্চুরির আশায় বুক বেঁধেছিলেন, তাদের নড়েচড়ে বসারই সুযোগ দিলেন না তামিম। ১০১ বলে ৯০ রানের ইনিংসটি তো দারুণ এক সম্ভাবনার অপমৃত্যুই।

নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তামিম। তবে বাংলাদেশের ইনিংসের ভিতটা নাজমুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঠিকই গড়ে দিয়েছেন তিনি। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৮ রানে ওপেনিং-সঙ্গী সাইফ হাসানকে হারানোর পর যে ধাক্কাটা বাংলাদেশে শরীরে লাগার কথা ছিল, সেটি লাগতে দেননি তামিম আর নাজমুল। ২২৫ বলে ১৪৪ রানের জুটিতে কেবল ধাক্কা সামলানোই ছিল না, ছিল লঙ্কান বোলারদের চোখে চোখ রেখে পাল্টা আঘাতের হুমকিও। তামিমের প্রায় ওয়ানডে স্টাইলেই খেলেছেন। কিন্তু সেই স্টাইলে সত্যিকার অর্থেই ঝুঁকির লেশমাত্র ছিল না। ১০১ বলের ইনিংসে তামিম বাউন্ডারি মেরেছেন ১৫টি। এখানে দেখার বিষয় তামিমের স্ট্রাইকরেট—৮৯.১০! দারুণ এই ইনিংসে আফসোসটা রয়ে গেল কেবল তাঁর সেঞ্চুরি না পাওয়াটাই।

দারুণ খেলেও সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ তামিমের।

টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি-খরা কাটিয়ে ওঠার বড় একটা সুযোগই এসেছিল আজ পাল্লেকেলেতে তামিমের সামনে। সে সুযোগটা হেলায়ই হারালেন, বলা যায়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে সাদা পোশাকে শেষ সেঞ্চুরিটি করেছিলেন তামিম। এরপর হ্যামিল্টনেই খেলেছিলেন ৭৪ রানের ইনিংস। ওয়েলিংটনে পরের টেস্টের প্রথম ইনিংসে আবারও ৭৪। এর ওপরে আর যেতেই পারেননি দুই বছরের বেশি সময় ধরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৪৪ আর ৫০ রানের দুটি ইনিংসের পর আজ ৯০। সেঞ্চুরির দেখা আর মিলল না তামিমের।

ফার্নান্দোর বলে তামিমের ওই কাট শটটির দরকার ছিল না, অন্তত পরিস্থিতির বিচারে। তামিম দোনোমনা হয়েই শটটা খেললেন, আর বিপদ ডেকে আনলেন। তাঁর এই শটটা তাঁর গোটা ইনিংসে একমাত্র ‘বাজে শট’। আর সেটিতেই কিনা তিনি আউট! ফার্নান্দোর বলে কিছুটা বাউন্স ছিল। তামিমের ব্যাট ছুঁয়ে বলটি চলে যায় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা লাহিরু থিরিমান্নের হাতে।