স্কটল্যান্ড আগেই জানত, প্রথম রাউন্ডে ভুগবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের হারের ম্যাচেই উন্নতিটা চোখে পড়েছে। স্কটল্যান্ডের খেলা দেখে মনেই হয়নি দলটা আইসিসির সহযোগী সদস্য। পরের দুই ম্যাচে ধারণাটা আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে স্কটল্যান্ড।
যে দলটি এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আসার আগে এ টুর্নামেন্টে মাত্র এক ম্যাচ জিতেছে, সেই তারাই প্রথম রাউন্ডে টানা তিন ম্যাচ জিতে উঠেছে সুপার টুয়েলভে।
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন হিসেবে এ বিশ্বকাপে ভালো করছে স্কটল্যান্ড, তা টের পাওয়া গেল দলটির বাঁহাতি স্পিনার মার্ক ওয়াটের কথায় আত্মবিশ্বাসের স্ফুরণে। আর তাতে উঠে এল বাংলাদেশের প্রসঙ্গ।
সুপার টুয়েলভে ওঠার পণ করেই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এসেছে স্কটল্যান্ড। ওয়াট জানান, প্রতিটি ম্যাচ ‘জিততেই হবে’ এ মানসিকতায় অভ্যস্ত হওয়ার পুরস্কার পেয়েছে তাঁর দল। সুপার টুয়েলভে স্কটল্যান্ডের গ্রুপে থাকছে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মতো দল। ওয়াটের বিশ্বাস, স্কটল্যান্ড সুপার টুয়েলভে আরও দু–একটি ‘আপসেট’ ঘটানোর সামর্থ্য রাখে।
আরও আপসেট? হ্যাঁ, প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশকে হারানোর সুখস্মৃতিকে ‘আপসেট’ ধরেই কথাটা বলেন ওয়াট, ‘আমার মনে হয় দু–একটি অঘটন ঘটাব আমরা। এটা না হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। এর আগেও হয়েছে। বিশ্বের সেরা ওয়ানডে দলকে হারিয়েছি, বাংলাদেশকেও হারিয়েছি। স্কটল্যান্ডকে ভয় পাওয়া উচিত অন্য দলগুলোর।’
প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার টুয়েলভে উঠেছে স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশ উঠেছে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে। মূলত এ পর্ব থেকেই শুরু হচ্ছে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসল লড়াই।
সেখানে লড়াইয়ের কৌশল পাল্টানোর দরকার আছে কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টানেন ওয়াট, ‘আলাদা করে কিছু করার দরকার আছে বলে মনে করি না। আমরা তিন ম্যাচের সব কটি জিতেছি, র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ছয়ে থাকা বাংলাদেশকে হারিয়েছি। যদি কোনো (কৌশলের) পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে সেটা বাংলাদেশকে করতে হবে। গ্রুপ পর্ব পেরোতে তাদের সংগ্রাম করতে হয়েছে, যেটা আমরা জানতাম যে এমনকিছুই হবে। কিন্তু আমরা যেভাবে খেলছি, সেভাবে খেললেই হবে।’
তিন বছর আগে এডিনবরায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের ঐতিহাসিক ৬ রানের জয়ে আলোচনায় আসেন ওয়াট। ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন এ স্পিনার। ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়া মানে বিরাট কোহলি, বাবর আজম ও কেইন উইলিয়ামসনকে থামানোর ছক কষতে হবে স্কটল্যান্ডকে। ওয়াট রোমাঞ্চিত, এ জন্যই তো ক্রিকেট খেলা। এখানে বড় তারকাদের মুখোমুখি হওয়া যায়।