স্থগিত আইপিএল, বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা

>করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল আইপিএল। আবার কবে শুরু হবে, কেউ জানে না
'১৩' সংখ্যাটাকে এমনিতেও অপয়া মানা হয়। এবার আইপিএলে যেন সেটাই প্রমাণ হলো!
এবার আইপিএলের ১৩ তম আসর হওয়ার কথা ছিল। ১২টি আসর নির্বিঘ্নে আয়োজিত হলেও ১৩ তম আসরে এসেই বাধার মুখে পড়ল আইপিএল। কারণ? করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছে আইপিএলের এবারের আসর।
আইপিএলের আট দলকে এর মধ্যে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের যে কোনো সম্ভাবনা নেই, সেটাও বলা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব নয়, জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড।
ভারতীয় বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী, সচিব জয় শাহ-সহ শীর্ষ কর্মকর্তারা টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে না হয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যাবে!
তবে আইপিএল একেবারে বাতিল হওয়ার শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর তা যদি হয়, বেশ বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বিসিসিআই। শুধু বোর্ডই নয়, আর্থিক ক্ষতির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে ক্রিকেটাররাও। গত নিলামে মোট ৬৪ জন ক্রিকেটারকে কিনতে ১৪০ কোটি টাকার মতো খরচ করেছে আইপিএলের আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে সেসব খেলোয়াড়দের কেউই কোনো টাকাপয়সা পাবেন না। ১৫.৫ কোটি টাকায় বিক্রি হয়ে এবারের আসরের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অস্ট্রেলীয় পেস তারকা প্যাট কামিন্স। শুধু তাই নয়, আইপিএলের ইতিহাসেরই সবচেয়ে দামি বিদেশি খেলোয়াড়ের তকমা ছিল তাঁর গায়ে। আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে সেই তকমাও থাকবে না আর।
টিভি স্বত্বের দিক দিয়েও বেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে ভারতীয় বোর্ড। আইপিএলকে সব চেয়ে বড় অর্থের জোগান দেয় টিভি স্বত্ব। ২০১৭ সালেই স্টার ইন্ডিয়া রেকর্ড পরিমাণ অর্থ দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য টিভিস্বত্ব কিনেছিল। ফলশ্রুতিতে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ১৫০ কোটি টাকা করে নিশ্চিত অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বোর্ড। সেটাও এখন অনিশ্চিত।