স্পিন সামলাতে ইংল্যান্ড দলে ‘সুইপ বিশেষজ্ঞ’

বিপর্যয় সামলাতে ট্রেসকোথিকের দ্বারস্থ ইংল্যান্ড।
ফাইল ছবি

টানা দুই টেস্টে ব্যাটিং হয়েছে যাচ্ছেতাই। এর জের টানছে ইংল্যান্ড। তারই অংশ হিসেবে কোপ পড়ল ব্যাটিং কোচ জোনাথন ট্রটের ওপর। নতুন ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মার্কাস ট্রেসকোথিককে।

স্পিনের বিপক্ষে সুইপ খেলা নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। সে সমস্যা সমাধান করতেই সুইপ বিশেষজ্ঞ ট্রেসকোথিকের ডাক পড়েছে। খেলোয়াড়ি জীবনে স্পিনের বিরুদ্ধে সুইপ খেলে প্রচুর রান করেছেন। স্পিনের বিরুদ্ধে বিশেষজ্ঞ হিসেবেও সুনাম ছিল ট্রেসকোথিকের। এ শতকের শুরুতে ইংলিশ ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ বলা হতো তাঁকে। কিন্তু বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়ে সংক্ষেপিত হয়ে যায় তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ার।

১০ হাজার আন্তর্জাতিক রান আছে ট্রেসকোথিকের হিসাবের খাতায়। ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ৭৬টি টেস্ট। তাতে রান ৫ হাজার ৮২৫। এ মাসেই তিনি দায়িত্ব নেবেন। সম্প্রতি তিনি সমারসেটের সহকারী কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ট্রেসকোথিকের পাশাপাশি পেস বোলিং কোচ হিসেবে গ্লুস্টারশায়ারের সাবেক পেসার জন লুইস ও স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে জিতেন প্যাটেলকে নিয়োগের মেয়াদ বেড়েছে।

‘সুইপ বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে সুনাম আছে ট্রেসকোথিকের।
ছবি: এএফপি

খেলোয়াড়ি জীবনে ট্রেসকোথিকের ব্যাটিংয়ের বড় বৈশিষ্ট্য ছিল সুইপ। তাঁর সুইপ-সামর্থ্যের সব সময়ই প্রশংসা ছিল সাবেক ইংল্যান্ড-সতীর্থদের কণ্ঠে। সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মন্টি প্যানেসার বলেছিলেন, তিনি নাকি ট্রেসকোথিকের মতো সুইপ আর কাউকে খেলতে দেখেননি।

এবারের ভারত সফরে অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের মতো স্পিনারদের বিপক্ষে সুইপে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের যে দুর্বলতা দেখা গেছে, সেটি ট্রেসকোথিক দূর করতে পারবেন বলে বিশ্বাস ইংলিশ ক্রিকেট প্রশাসনের। তবে চতুর্থ টেস্টের আগেই যে রাতারাতি সে দুর্বলতা দল কাটিয়ে উঠবে, সেটি মনে করার কোনো কারণ নেই। ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড চাইছে দীর্ঘ মেয়াদে এই সমস্যার একটা সমাধান। ৪ মার্চ থেকে আহমেদাবাদেরই নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট। একই মাঠে আগের টেস্টেই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিল ইংলিশরা। চতুর্থ টেস্টে যে সেই জুজু তাদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে না, সেটি কে বলতে পারে! তবে স্পিন বোলিং কোচ জিতেন প্যাটেল চান টস জেতা। টস জিতে আগে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ড যতটা সম্ভব রান তুলে ফেললে সমস্যা কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

তবে স্পিনার জ্যাক লিচ জানিয়েছেন, আহমেদাবাদের তৃতীয় টেস্ট এখন অতীত, ‘আগের ম্যাচে কী হয়েছে, সেটি মাথা থেকে দূরে ঠেলেই মাঠে নামব আমরা।’ তবে চতুর্থ টেস্ট যে ‘গোলাপি বলে’ হবে না, সেটিতেই স্বস্তি তাঁর। লিচ মনে করেন, গোলাপি বল অতিরিক্ত স্কিড করার কারণেই ব্যাটসম্যানদের খেলতে অসুবিধা হয়েছে।