হাসপাতাল থেকে ফিরে আইসোলেশনে টেন্ডুলকার

বাড়ি ফিরেছেন শচীন টেন্ডুলকার।ছবি: রয়টার্স

এক সপ্তাহ পর বাড়ি ফিরলেন শচীন টেন্ডুলকার। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে বিবৃতি দিয়েই বাড়ি ফেরার খবরটি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। তবে টেন্ডুলকার লিখেছেন আগামী কয়েক দিন বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন তিনি।

এ মাসেই ৪৮-এ পা রাখতে যাওয়া টেন্ডুলকার টুইটারে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শুভাকাঙ্ক্ষীদের, ‘মাত্রই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলাম, বিশ্রাম নিতে ও পুরোপুরি সুস্থ হতে আপাতত বাড়িতে আইসোলেশনে থাকব। যাঁরা আমাকে শুভকামনা জানিয়েছেন ও আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি চিকিৎসাকর্মীদের কাছেও চিরকৃতজ্ঞ থাকব। একটা বছর ক্লান্তিহীন পরিশ্রমের পরও কঠিন এই সময়ে তাঁরা আমার কী যত্নই না নিয়েছেন!’

টেন্ডুলকার করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন গত ২৭ মার্চ। প্রথম কয়েক দিন বাড়িতেই ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ১০০ সেঞ্চুরির মালিক। করোনার মৃদু কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর পূর্বসতর্কতা হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি হন টেন্ডুলকার। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবরও টেন্ডুলকার নিজেই দিয়েছিলেন। ভারতের ক্রিকেট মহানায়ক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এমন একদিনে, ১০ বছর আগে যেদিনে বিশ্বকাপ জিতেছিল তাঁর দল।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর টেন্ডুলকার জানিয়েছিলেন টুইট করে, ‘আমার জন্য প্রার্থনা করায় সবাইকে ধন্যবাদ। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সতর্কতা হিসেবে আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরতে পারব। সবার জন্য শুভকামনা, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। সব ভারতীয় ও আমার সতীর্থদের বিশ্বকাপ জয়ের দশক পূর্তির শুভেচ্ছা জানাই।’

রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে শচীন টেন্ডুলকার।
ছবি: টুইটার

গত মাসে ছত্রিশগড়ের রায়পুরে রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ চ্যালেঞ্জে ভারতীয় লিজেন্ডস দলের হয়ে খেলছেন টেন্ডুলকার। যে টুর্নামেন্টে খেলেছে বাংলাদেশের লিজেন্ডস দলও। ওই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় টেন্ডুলকারের দল। তবে টুর্নামেন্ট থেকে বাড়ি ফেরার পর টেন্ডুলকারসহ দলের চার ক্রিকেটার করোনা পজিটিভ হন। অন্য তিনজনও ভারতের জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়—ইউসুফ পাঠান, ইরফান পাঠান ও এস বদ্রিনাথ। তাঁদের মধ্যে বদ্রিনাথ সুস্থ হয়ে গেছেন। কাল শুরু আইপিএলে ধারাভাষ্যও দেবেন ভারতের হয়ে দুটি টেস্ট, সাতটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

ভারতজুড়ে এখন প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। টেন্ডুলকাররা যেখানে খেলেছেন সেই রায়পুরে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ছত্রিশগড় রাজ্য সরকার শহরটিকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। সতর্কতা হিসেবে রায়পুর জেলার সঙ্গে আশপাশের জেলার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।