হায়দরাবাদকে ঘরে খেলতে না দেওয়ার হুমকি

স্থানীয় খেলোয়াড় না থাকলে হায়দরাবাদে সানরাইজার্সকে খেলতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি স্থানীয় সাংসদের।
ছবি: আইপিএল

সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে নিয়ে খেপেছেন হায়দরাবাদের এক সাংসদ। তেলঙ্গানা রাজ্যের স্থানীয় রাজনৈতিক দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সাংসদ দনম নাগেন্দরের ক্ষোভের কারণ সানরাইজার্স ফ্র্যাঞ্চাইজিতে হায়দরাবাদের কোনো স্থানীয় ক্রিকেটারের না থাকা। নাগেন্দর হুমকি দিয়েছেন, স্থানীয় কোনো ক্রিকেটার না থাকায় হায়দরাবাদের মাটিতে আইপিএলের কোনো ম্যাচ খেলতে দেওয়া হবে না সানরাইজার্সকে।

নাগেন্দর এ নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন, ‘সানরাইজার্স হায়দরাবাদের স্থানীয় একজন ক্রিকেটারকেও খুঁজে পেল না! রঞ্জি ট্রফি ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে খেলা প্রচুর ক্রিকেটার আছে আমাদের। প্রচুর প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারে ঠাসা হায়দরাবাদ। কিন্তু আইপিএলে তারা খেলার সুযোগ পাচ্ছে না।’ তেলেঙ্গানার এই সাংসদ ডেভিড ওয়ার্নার কেন সানরাইজার্সের অধিনায়ক, সেটি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, ‘এই ওয়ার্নার বল বিকৃতি করে প্রতারণা করেছিল। সেও কিনা সানরাইজার্সের অধিনায়ক।’

ওয়ার্নার কেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক—সাংসদের ক্ষোভ
ছবি: আইপিএল

নাগেন্দর বলেন, ‘মোহাম্মদ সিরাজ হায়দরাবাদের স্থানীয় প্রতিভা। সে নিজগুণে কেবল আইপিএলই নয়, জাতীয় দলেও সুযোগ করে নিয়েছে। অথচ এই সিরাজই খেলছে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতে! আমি মনে করি, সানরাইজার্স যদি স্থানীয় ক্রিকেটারদের সুযোগ না দেয়, তাহলে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে “হায়দরাবাদ” শহরের নাম মুছে ফেলতে হবে। স্থানীয় ক্রিকেটার না থাকলে হায়দরাবাদের মাঠে আইপিএলের ম্যাচ খেলতে আমরা তাদের বাধা দেব।’

কেবল নাগেন্দরই নন, সানরাইজার্সে হায়দরাবাদের স্থানীয় ক্রিকেটার না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এঁদের মধ্যে আছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। তিনি এ মুহূর্তে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার প্রধান। সানরাইজার্স কেন একজনও স্থানীয় প্রতিভা দলে নিল না, এ নিয়ে তিনিও বেজায় ক্ষুব্ধ।

একজন স্থানীয় খেলোয়াড়ও নেই হায়দরাবাদ দলে।
ছবি: আইপিএল

আইপিএলের এবারের নিলামে খুব বেশি অর্থ নিয়ে মাঠে নামেনি সানরাইজার্স। দলটি ১০.৭ কোটি রুপি নিয়ে নেমে খুব হিসাব করে খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে। ২০২১ আইপিএলে সানরাইজার্সে আসা নতুন ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন কেদার যাদব (২ কোটি রুপি), আফগানিস্তানের মুজিব-উর-রেহমান (দেড় কোটি রুপি) ও জগদীশ সুচিত (৫০ লাখ রুপি)।

আইপিএলের বিভিন্ন দলের সঙ্গে ভারতের বড় বড় শহরের নাম জড়িয়ে থাকলেও দলগুলোর বেশি কয়েকটিই স্থানীয় খেলোয়াড়শূন্য। এই দলগুলোয় স্থানীয় খেলোয়াড় রাখার বাধ্য বাধকতাও সেভাবে নেই।