হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতা ধরা পড়ল আবিদ আলীর

টেস্ট ও ওয়ানডে দুই সংস্করণেই অভিষেকে সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার আবিদ। হৃদরোগ তাঁর ক্যারিয়ারই হুমকির মুখে ঠেলে দিলছবি : প্রথম আলো

কদিন আগেই বাংলাদেশে খেলে গেলেন। ব্যাট হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শতরান করেছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে শতকের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। ঢাকা টেস্টেও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। সেই আবিদ আলীর ক্রিকেট ক্যারিয়ারই হুমকির মুখে! পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কায়েদে আজম ট্রফিতে খেলার সময় বুকে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ডাক্তারি পরীক্ষার পর দেখা গেছে, হৃদ্‌রোগে ভুগছেন তিনি।

করাচিতে কায়েদে আজম ট্রফির ম্যাচে মধ্য পাঞ্জাবের হয়ে খাইবার পাখতুনখাওয়ার বিপক্ষে ম্যাচে হঠাৎ করেই বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন পাকিস্তানি ওপেনার। দ্রুতই তাঁকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, তিনি হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতায় আক্রান্ত।

কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম টেস্টে শতরান করেছিলেন আবিদ
ছবি: প্রথম আলো

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুকে ব্যথার পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে আবিদের হৃদ্‌যন্ত্রে জটিলতা ধরা পড়ে। আবিদ এ মুহূর্তে একজন হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মধ্য পাঞ্জাবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার আবিদ। খাইবার পাখতুনখাওয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও দ্বিতীয় ইনিংসে বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়ার আগে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

৩১ বছর বয়সে ২০১৯ সালে আবিদ সুযোগ পান পাকিস্তান টেস্ট দলে। অভিষেকেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে শতরান করেন তিনি। করাচিতে নিজের দ্বিতীয় টেস্ট ও তৃতীয় ইনিংসেই খেলেছেন ১৭৪ রানের এক ইনিংস। টেস্টের উদ্বোধনী ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান দলের একটা বড় সমস্যারই সমাধান যেন এই আবিদ। ১৫টি টেস্ট খেলে ২৫ ইনিংসে ৪ শতক আর ৩ পঞ্চাশে ৪৯.৬০ গড়ে ১ হাজার ১৪১ রান সেটিরই বড় প্রমাণ। এ বছরেরই মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে অপরাজিত ২১৫ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের যোগ্যতার বড় প্রমাণ তিনি রেখেছেন।

ওয়ানডে অভিষেকেও সেঞ্চুরি আছে আবিদের
ফাইল ছবি

পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৪ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন আবিদ আলী। ২০০৭ সালে পাকিস্তানের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কায়েদে আজম ট্রফিতে তাঁর অভিষেক। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ইসলামাবাদের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের একটি ইনিংসে আদ্যন্ত ব্যাটিংয়ের রেকর্ড আছে তাঁর। সে ম্যাচে তিনি করেছিলেন অপরাজিত ২৩১। কিছুদিন পর আরও একটি ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২৪৯ রানের একটি ইনিংস।

আবিদ এখন পর্যন্ত একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি টেস্ট আর ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছেন। অনেকটা নীরবে-নিভৃতেই তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে।