হেরে গেলেন সালমা, আইপিএল থেকে বাদ জাহানারা

ফাইনালে চলে গেলেন সালমারা।ছবি: আইপিএল

ভ্যালসিটিকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ খেলেই ফাইনাল নিশ্চিত হয় ট্রেইলব্লেজার্সের। আজ সালমা খাতুনদের জন্য ম্যাচটা ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। অন্যদিকে ফাইনাল খেলতে হলে জিততেই হতো সুপারনোভাসকে। ভ্যালসিটি থেকে রান রেটেও এগিয়ে থাকতে হতো হারমানপ্রীত কৌরদের। শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনার ম্যাচটিতে ট্রেইলব্লেজার্সকে ২ রানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে সুপারনোভাস। রান রেটে পিছিয়ে থাকায় বাদ জাহানারা আলমদের ভ্যালসিটি।

আগে ব্যাট করা সুপারনোভাসের ১৪৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল ট্রেইলব্লেজার্সের। ডিয়েন্দ্রা ডটিনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান পায় ট্রেইলব্লেজার্স। সঙ্গে অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা তো আছেনই। ১৪৭ রান তাড়া করা খুব কঠিন মনে হচ্ছিল না দুই ওপেনারের জন্য। কিন্তু বল পুরোনো হতেই রান করা কঠিন হয়ে ওঠে। একে একে উইকেটের পতন হয়। চাপ বাড়ে।

সেখান থেকে আবার ট্রেইলব্লেজার্সকে টেনে তোলেন দীপ্তি শর্মা ও হারলিন দেওল। দুর্দান্ত ডেথ ওভারের ব্যাটিংয়ে প্রায় হারের মুখ থেকে ট্রেইলব্লেজার্সকে জয়ের স্বপ্ন দেখান দুজন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০ রান। কিন্তু রাধা যাদবের চতুর বোলিং ২ রানে জেতায় সুপারনোভাসকে।

প্রথম ইনিংসে সুপারনোভাসকে প্রতিযোগিতায় রাখেন লঙ্কান ওপেনার চামারি আতাপাত্তু। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৯ ওভারে ৭৫ রান তুলে ফেলেছিল সুপারনোভাস। আতাপাত্তু খেলছিলেন এবারের উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জের সেরা ইনিংস। তখনই সালমা খাতুনকে বল তুলে দেন ট্রেইলব্লেজার্স অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। দলকে ম্যাচে ফেরাতে জুটি ভাঙতে হতো সালমার।

প্রথম ওভারে ডট বল দিয়ে সুপারনোভাসের দুই ওপেনার আতাপাত্তু ও প্রিয়া পুনিয়ার চাপ বাড়ান। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারের এসে জুটি ভাঙেন বাংলাদেশ নারী টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ওপেনার পুনিয়া চেয়েছিলেন সালমার ঝুলিয়ে দেওয়া অফ স্পিন বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারবেন। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় বল গেল আকাশে। মিড উইকেট থেকে দৌড়ে দুর্দান্ত ক্যাচে সালমাকে উইকেট উপহার দেন দীপ্তি শর্মা।

দলকে প্রথম উইকেট এনে দিয়েছেন সালমা।
ছবি: আইপিএল

নিজের তৃতীয় ওভারও সালমা ছিলেন মিতব্যয়ী। নিজের শেষ ওভারে এসে আতাপাত্তুর কাছে রান খরচা করেন সালমা। ফুল লেংথের বলে সালমার মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন শ্রীলঙ্কান ওপেনার। শর্ট বল পেয়ে কাভারে চারও মারেন। নিজের শেষ ওভারেই রান দিয়েছেন ১৪। অথচ প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছিলেন সালমা।

সালমার সঙ্গে অপর প্রান্ত থেকে চাপ সৃষ্টি করেন লেগ স্পিনার হারলিন দেওল। শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করে ওপেনার আতাপাত্তু ফিফটি করে বড় ইনিংসের হুমকি দিচ্ছিলেন। হারলিনের স্পিনেই ক্যাচ তুলে আউট হন এই শ্রীলঙ্কান। তবে আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন আতাপাত্তু। বাকি পথটা একা পাড়ি দেন সুপারনোভাস অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। শেষের দিকে ২৯ বলে ৩১ রান যোগ করে দলকে ১৪৬ রানে পৌঁছে দেন তিনি।