১ কোটির মুশফিক দল পাবেন আইপিএলে?

এবার কি আইপিএলে দল পাবেন মুশফিক?প্রথম আলো ফাইল ছবি

২০২১ সালের আইপিএল মাঠে গড়াবে এপ্রিলে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দল গোছানোর কাজটা সেরে নেবে আজই। ১ হাজার ১১৪ জন ক্রিকেটার থেকে বেছে নেওয়া ২৯২ জন ক্রিকেটার আজ উঠবেন নিলামের টেবিলে। গতকাল পর্যন্ত জানা গিয়েছিল, এ তালিকায় আছেন চার বাংলাদেশি ক্রিকেটার। আজ সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদউল্লাহ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের নামের সঙ্গে শেষ মুহূর্তে যুক্ত হয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। ২০২০ সংস্করণে অবিক্রিত থাকা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান কি এবার দল পাবেন?

নিলামে ওঠা ২৯২ ক্রিকেটারের মধ্যে ১২৮ জন বিদেশি। আর তাঁদের মধ্যে দলগুলো কিনবে মাত্র ২২ জন ক্রিকেটারকে। এত অল্পজনের মধ্যে দল পাওয়া সত্যিই কঠিন। সে কারণে বাংলাদেশের পাঁচ ক্রিকেটারের সবাই যে দল পাবেন না, সেটা বলাই যায়।

গত মৌসুমেও সাকিব না থাকায় মুশফিককে নিয়ে কিছুটা আগ্রহ ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। তারপরও তিনি দল পাননি। এবার শেষ মুহূর্তে মুশফিককে তালিকাভুক্ত করায় তাঁর ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।

এখনো আইপিএল খেলা হয়নি মুশফিকের।
ফাইল ছবি

আইপিএল নিলামে এবার এক কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যে আছেন মুশফিক। তবে সবচেয়ে বেশি ভিত্তিমূল্য সাকিবের—দুই কোটি। মোস্তাফিজের ভিত্তিমূল্যও এক কোটি রুপি। মাহমুদউল্লাহর ভিত্তিমূল্য ৭৫ লাখ রুপি। এবারই প্রথম আইপিএল নিলামে থাকা অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে দলে পেতে কমপক্ষে ৫০ লাখ রুপি খরচ করতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে।

গতবার প্রথমে নিজে থেকেই নিবন্ধিত হতে চাননি মুশফিক। পরে আইপিএল থেকেই অনুরোধ এলে তিনি নাম দেন। মনে হচ্ছিল তাঁকে নিয়ে আগ্রহ আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একই ব্যাপারের পুনরাবৃত্তি—অবিক্রিত মুশফিক

বাংলাদেশ থেকে আইপিএলে নিয়মিত মুখ সাকিবই। ২০১১ সাল থেকে অনেক আসরেই খেলেছেন তিনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের নিয়মিত সাকিবকে একসময় ছেড়ে দিয়েছিল তারা। এরপর তাঁকে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে একাধিক মৌসুম খেলেছেন মোস্তাফিজ। প্রথম আবির্ভাবে তো আইপিএলের সেরা উদীয়মানই হয়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক কিংবা সাইফউদ্দিন—এবার দল পেলে সেটি হবে বড় ঘটনাই।

একাধিকবার নিলামে নাম উঠলেও মুশফিক শেষ পর্যন্ত অবিক্রিতই থেকে যান। গতবারের ব্যাপারটা ছিল একটু অদ্ভুত। প্রথমে নিজে থেকেই নিবন্ধিত হতে চাননি মুশফিক। পরে আইপিএল থেকেই অনুরোধ এলে তিনি নাম দেন। মনে হচ্ছিল তাঁকে নিয়ে আগ্রহ আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একই ব্যাপারের পুনরাবৃত্তি—অবিক্রিত মুশফিক। বিষয়টা নিয়ে মুশফিক নিজেও কিছুটা অবাক হয়েছিলেন।