১৭১টিই ডট!

☼ বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল ১৭১টি ডট

☼ এই পরিসংখ্যানটিই অনুপ্রাণিত করতে পারে বাংলাদেশ দলকে

প্রচুর ডটবল খেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ছবি: প্রথম আলো
প্রচুর ডটবল খেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ছবি: প্রথম আলো

আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা বাংলাদেশের যাত্রা আজ যেন উল্টো পথেই । মিরপুরে জিম্বাবুয়েকে ২১৭ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছেন মাশরাফিরা। সন্তুষ্ট হওয়ার মতো কিছু নয়। সত্যি বলতে কি নিজেদের ব্যাটিং থেকেই অনুপ্রেরণা নিতে পারে বাংলাদেশের বোলাররা!
প্রতিপক্ষকে আটকাতে হলে দুর্দান্ত বোলিং করতে হবে মোস্তাফিজ-সাকিবদের। প্রতিপক্ষ যেহেতু জিম্বাবুয়ে আর উইকেটটাও কঠিন—বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী করতে পারে এতটুকুই। উইকেট কতটা কঠিন? বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ১৭১ বল ডট খেলেছেন। এই উইকেটে ব্যাট করা সহজ নয় মোটেও। ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা জিম্বাবুয়েও তা বুঝছে।

এবার ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই ধরনের উইকেট দেখা যাচ্ছে মিরপুরে। কোনো ম্যাচ খেলা হচ্ছে ফ্ল্যাট উইকেটে। ব্যাটসম্যানরা যেখানে রান তুলতে পারছেন অনায়াসে। আরেকটি হচ্ছে মন্থর উইকেটে। জিম্বাবুয়ের স্পিন দুর্বলতা ভেবে বাংলাদেশ দুটি ম্যাচই খেলল মন্থর উইকেটে। বল ঠিকমতো ব্যাটে আসছে না। কখনো বাউন্স হচ্ছে অসমান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এ সমস্যাতেই পড়েছে বারবার।

মাত্র ৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানের প্রথম উইকেট জুটি দলকে বড় স্কোরের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিল। দুজন ১০৬ রানের জুটি গড়লেও রান তোলা যে সহজ ছিল না, তাঁদের ডট বলের সংখ্যাই বলে দিচ্ছে। তামিম ১০৫ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলার পথে ‘ডট’ খেলেছেন ৫৫টি। ৮০ বলে ৫১ রান করা সাকিব রান নিতে পারেননি ৪৭ বলে। তামিমের স্কোরিং শট ৫০, সাকিবের সেটি ৩৩।
মন্থর উইকেটে রানের চাকাটা আরও দ্রুত এগিয়ে নিতে না পারার চাপে দুজনই আউট হয়েছেন স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে!

জুটিটা ভাঙার পরই আর কোনো ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে উজ্জ্বল ইনিংস দেখা যায়নি। ১৭০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের একটা সময় ২০০ করা নিয়েও ছিল সংশয়।

মোস্তাফিজুর রহমান, সানজামুল ইসলাম ও রুবেল হোসেনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় (৪৫ রান যোগ হওয়ায়) স্কোরটা কোনোভাবে ভদ্রস্থ হয়েছে।

উইকেট যত কঠিনই হোক স্কোরটা আরও হৃষ্টপুষ্ট হতেই পারত। যোগ হতে পারত আরও ৪০-৫০ রান। এই উইকেটে বাংলাদেশও হয়তো ২৪০-২৫০ রানের লক্ষ্যেই নেমেছিল। সেটি হয়নি, জিম্বাবুয়ের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। কন্ডিশন তাঁরা দারুণ কাজে লাগিয়েছেন। মাপা লাইন-লেংথে বল করে গেছেন ওদের স্পিনাররা।

তবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরও দায় কম নয়! ইনিংসের ৫৯ শতাংশ বলই ডট দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। এ চাপ খুব একটা আলগা করতে পারেনি বাংলাদেশ।

এখন ম্যাচটা নিজেদের মুঠোয় নিতে একটা পথই খোলা আছে বাংলাদেশের, জিম্বাবুয়ের বোলারদের চেয়ে দুর্দান্ত করতে হবে মাশরাফিদের। তা অবশ্য বাংলাদেশ করছেও। বাকিটা দেখা যাক!