২০০ রানও করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহরা

আউট হয়ে ফিরছেন মুমিনুল হক।ছবি: প্রথম আলো

পরীক্ষামূলক সিরিজটাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে চেষ্টার কমতি নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তবে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথম ইনিংসটাকে খুব বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ একাদশের ব্যাটসম্যানরা। নাজমুল একাদশের বিপক্ষে তাঁরা ৪৭.৩ ওভারে অলআউট হয়েছেন ১৯৬ রান করে।

লম্বা বিরতির পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার জড়তা মাহমুদউল্লাহ একাদশের ব্যাটসম্যানরা খুব একটা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। লিটন দাস–নাঈম শেখের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ১৭ রানে। আল আমিন–তাসকিন আহমেদের অসাধারণ বোলিংয়ে ২১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে এলেমেলো টপঅর্ডার।

রানের জন্য দৌড়াচ্ছেন ইমরুল ও নাঈম শেখ।
ছবি: প্রথম আলো

ইমরুল কায়েস–মাহমুদউল্লাহর চতুর্থ উইকেট জুটি ৭৩ রান যোগ করে স্কোরটা ভদ্রস্থ করার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। ইমরুল এগোচ্ছিলেন বেশ স্বচ্ছন্দে। লম্বা ইনিংস তাঁর কাছে পাওনাই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নাঈম হাসানকে স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শেষ সেই সম্ভাবনা। সাইফ হাসানের ক্যাচ হয়ে ইমরুল আউট ৪০ রান করে।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তবুও দলকে ভালো স্কোর এনে দেওয়ার প্রত্যয়ে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু তিনিও (৫১) মুকিদুল ইসলামকে স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আফিফ হাসানের হাতে। নুরুল হাসানের শিশুতোষ রানআউট কিংবা মুকিদুলের দুর্দান্ত ফিরতি ক্যাচ হয়ে সাব্বির রহমানের (২২) ফিরে যাওয়ার পর লোয়ার মিডল অর্ডার বলার মতো অবদান রাখতে পারেনি স্কোরটা বড় করতে।

নাজমুল একাদশের তিন পেসার তাসকিন, আল আমিন ও মুকিদুল নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ধারাবাহিক চাপে রেখেছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। তিনজনই পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। ভালো বোলিং করেছেন অফ স্পিনার নাঈম হাসানও, ১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। লেগ স্পিনার রিশাদ আহমেদ উইকেটশূন্য থাকলেও তাঁর বোলিংও প্রশংসা পাবে। অধিনায়ক নাজমুল বলছিলেন, দলটা তারুণ্যনির্ভর হওয়ায় তাঁদের ফিল্ডিংটা হবে অসাধারণ। প্রথম ম্যাচে তাঁর কথার প্রমাণ মিলেছে। ফিল্ড প্লেসিং, বোলার পরিবর্তনে তরুণ এ অধিনায়ক পাবেন ‘এ প্লাস।’

মাহমুদউল্লাহ একাদশের দেওয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নাজমুল একাদশের রান ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫২।