৮৭ বছরে এমনটা হয়নি ভারতের ক্রিকেটে

বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী ও সচিব জয় শাহ
ছবি: টুইটার

ভারতের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফি শুরু হয়েছিল সেই ১৯৩৪ সালে। এরপর প্রতি মৌসুমেই হয়েছে রঞ্জির লড়াই। ৮৭ বছরের মধ্যে ব্যতিক্রম ঘটছে এবারই প্রথম। করোনাভাইরাসের কারণে এবার আর রঞ্জি ট্রফি আয়োজন করবে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

রঞ্জিতে নকআউট ম্যাচ হয়ে থাকে পাঁচ দিনের। অন্য ম্যাচগুলোর দৈর্ঘ্য চার দিন। বেশির ভাগ রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলো এবার রঞ্জি ট্রফি আয়োজনে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে বিসিসিআইয়ের কাছে।

বোর্ড এই দাবি মেনে ভারতের সেরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্টটি এবার আর আয়োজন করছে না। রঞ্জির ওয়ানডে সংস্করণখ্যাত বিজয় হাজারে ট্রফি মাঠে গড়াবে, জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

তবে ছেলেদের জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্ট ভিনু মানকড় ও মেয়েদের ৫০ ওভারের জাতীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বিসিসিআই।

রাজ্য সংস্থাগুলোকে চিঠিতে এ কথা জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী ও সচিব জয় শাহ রঞ্জি আয়োজন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের এ সময়ে রঞ্জির দৈর্ঘ কমিয়েও দুই মাস ‘জৈব সুরক্ষিত’ পরিবেশ ধরে রাখাটা সম্ভব বলে মনে হয়নি বোর্ডের।

জয় শাহর পাঠানো চিঠির একটি কপি ভারতের সংবাদমাধ্যম পিটিআইয়ের হাতে এসেছে, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে সিনিয়র মেয়েদের ওয়ানডে টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফি এবং তারপর ভিনু মানকড় ট্রফি আয়োজন করা হবে। ২০২০-২১ ঘরোয়া মৌসুমের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

রঞ্জিতে ম্যাচপ্রতি প্রায় দেড় লাখ রুপি পেয়ে থাকেন ক্রিকেটাররা। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে এ টুর্নামেন্টেই সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।

বিসিসিআইয়েরে বার্ষিক সাধারণ সভায় অবশ্য খেলোয়াড়দের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মৌসুম করোনার কারণে কাটছাঁট করতে হলে এবং রঞ্জিতে খেলতে না পারার ক্ষতিপূরণ পাবেন ক্রিকেটাররা।

খেলোয়াড়েরা আর্থিকভাবে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তার উপায় বের করবে বিসিসিআই, জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।