'উত্তরসূরি' খুঁজবেন তামিম ইকবাল

জাতীয় দলে চট্টগ্রামের ক্রিকেটারদের প্রতিনিধিত্ব একসময় ভালোই ছিল। আর এখন সবেধন নীলমণি তামিম ইকবাল। তামিমের পর বন্দরনগরের আর কেউ ব্যাট-বলের দ্যুতি ছড়িয়ে আগামী দিনের তারকা হওয়ার সম্ভাবনা জাগাতে পারেননি। এই কারণেই কিনা ‘উত্তরসূরি’ তৈরির ভারটা তামিম নিজের কাঁধেই নিলেন!
আগামী তিন বছর চট্টগ্রামে তিনটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট করার ঘোষণা দিয়েছেন তামিম। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাল রাজশাহীর বিপক্ষে জাতীয় লিগের ম্যাচের মধ্যাহ্ন বিরতিতে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘চট্টগ্রাম থেকে খুব একটা ক্রিকেটার বের হচ্ছে না। আমার মনে হয়, এখানে ঠিকমতো টুর্নামেন্ট হচ্ছে না। তাই আমি আমার বাবার নামে আগামী তিন বছর তিনটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাই। অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে টুর্নামেন্টগুলো হবে।’
তামিমের বাবা ইকবাল খান ছিলেন ফুটবলার ও কোচ। অনেক খেলোয়াড়ই তাঁর হাত ধরে বড় আসরে খেলেছেন। তামিমের চাচা আকরাম খানের সাফল্যের পেছনেও ছিলেন বড় ভাই ইকবাল খান। ৫ জানুয়ারি ইকবাল খানের মৃত্যুবার্ষিকী। তামিম বলেন, ‘যেকোনো একটি টুর্নামেন্টের উদ্বোধন কিংবা ফাইনাল আগামী ৫ জানুয়ারি করার ইচ্ছা আছে। তিন বছর এই টুর্নামেন্টগুলো করব। প্রতিবছর তিনটি করে টুর্নামেন্ট হবে।’
টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিষয়ে স্থানীয় বিভিন্ন একাডেমির কোচ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তামিম। কাল নতুন উদ্যোগের কথা জানানোর সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন নুরুল আবেদিন নোবেলসহ আরও কয়েকজন। ‘নোবেল, মোমিন ভাইয়েরা টুর্নামেন্টের সবকিছু করবে। আমার ব্যক্তিগত স্পনসর এবং আমি যাঁদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসডর, তাঁদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তাঁরা খুব আগ্রহ দেখিয়েছেন। এ ছাড়া আমার পরিবারেরও সহযোগিতা থাকবে’—বলছিলেন তামিম।
চট্টগ্রামের ক্রিকেট নিয়ে হতাশার পাশাপাশি অতীত স্মৃতিচারণাও করলেন জাতীয় দলের এই বাঁহাতি ওপেনার, ‘আকরাম চাচা, নান্নু চাচারা (মিনহাজুল আবেদিন) যখন খেলতেন, তখন এখানে স্টার যুব বা স্টার সামারের মতো বড় বড় টুর্নামেন্ট হতো। ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে খেলোয়াড়েরা খেলতে আসত। লিগ নিয়মিত হলেও সেসব আর এখন হয় না। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলো হলে অনেক খেলোয়াড় জাতীয় দলে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করবে।’