'রাত দুইটায় বলল করোনা পরীক্ষা কর'

পাকিস্তান সুপার লিগ থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে। প্রতীকী ছবি
পাকিস্তান সুপার লিগ থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে। প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে মার্চেই সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে দর্শকবিহীন মাঠে খেলা হলেও পরে সিরিজের বাকিটা বাতিল করা হয়। কিন্তু এর মাঝেও পাকিস্তান সুপার লিগ চলছিল। বহুদিন পর দেশের মাটিতে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরে যে কোনোভাবে সেটা শেষ করতে চেয়েছিল পিসিবি। কিন্তু একটি সতর্কবার্তা তাদের এই গোঁয়ার্তুমি থামিয়ে দিয়েছে।

সেমিফাইনাল ও ফাইনালই শুধু বাকি ছিল পিএসএলে। এই অবস্থাতেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে টুর্নামেন্টটি। কীভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো সেটাই জানিয়েছেন সালমান ইকবাল। করাচি কিংসের মালিক বিবিসির পডকাস্ট (অডিও আলোচনা) ‘দুসরা’তে জানিয়েছেন সে সময়কার কথা।

সেমিফাইনালের কদিন আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে পাকিস্তান ছেড়ে দেশে ফিরেছিলেন অ্যালেক্স হেলস। পিএসএল চলার সময়েই পাকিস্তানের করাচিতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল কোভিড-১৯। কিন্তু দেশে ফেরার পর নিজের মধ্যে করোনার সংক্রমণের বৈশিষ্ট্য খুঁজে পান হেলস। ইংলিশ ওপেনার দ্রুত ফোন করেছেন ইকবালকে, ‘পাকিস্তানে তখন রাত তখন দুইটা। এ সময় অ্যালেক্স হেলস ম্যাসেজ পাঠাল, “বস, আমার মধ্যে কোভিড-১৯ এর কিছু লক্ষণ পাচ্ছি। আমার মনে হয় তোমাদের সবার করোনা পরীক্ষা করা উচিত।”'

এমন এক বার্তার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে খুব একটা সময় লাগেনি। ইকবালের কণ্ঠে সেই মুহূর্তের শঙ্কা টের পাওয়া যাচ্ছিল ভালোভাবেই, ‘এরপরই কোচ ডিন জোনস ফোন করল আমাকে। বলল তখনই দেখা করতে চায়, আলোচনা করতে চায়। আমরা সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যদি সংক্রমণ দেখা দেয়, তবে তোমাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। আমি চেষ্টা করলাম যাতে তখনই হেলসকে পরীক্ষা করার জন্য বার্মিংহামে পাঠাতে। আমি আমার লন্ডনের ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সে যাবে কি না। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি।’

পিএসএল পরের দিনই স্থগিত করা হয়েছে। সন্ধ্যায় সেমিফাইনাল খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল দলগুলো, এ অবস্থাতেই আসে নতুন নির্দেশ, ‘আমরা দলের সবার পরীক্ষা করাই। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল এবং পরের দিনই টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।’