- শেষ হলো খেলার ভুবনের মানুষদের মিলনমেলা
- কে কী পুরস্কার পেলেন
- পাঠকের ভোটে বর্ষসেরা পুরস্কার ২০২৪ কে পাচ্ছেন?
- বর্ষসেরা রানারআপ ২০২৪ পুরস্কার ক্রিকেটের
- বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ ২০২৪ পুরস্কার কার?
- বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড় ২০২৪ পুরস্কার কার?
- নিয়াজ, আসিফ, আসলাম ও সাবরিনার কণ্ঠে ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা...’
- বাংলাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার মঞ্চে...
- শুরু হলো পুরস্কার পর্ব: প্রথমেই আজীবন সম্মাননা পুরস্কার
- প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বললেন...
- মঞ্চে সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন)
- মঞ্চে প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক
- উপস্থাপক যাঁরা
- আমন্ত্রণ পেয়েই খুশি তহুরা, ঋতুপর্ণা
- ‘স্বচ্ছতার দিক দিয়ে এই পুরস্কারই সেরা’
- স্বাগতম!
শেষ হলো খেলার ভুবনের মানুষদের মিলনমেলা
শেষ হলো মিলনমেলা। সাঙ্গ হলো ক্রীড়া পুরস্কার।
বাংলাদেশের খেলার ভুবনের মানুষদের কাঙ্খিত এই জমকালো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ক্রীড়াবিদদের গ্রুপ ছবি তোলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো। ওয়েসিস হলরুম আপাতত ভাঙা হাট হলেও আগামী বছর দেখা হবে আবারও এমনই এক জমকালো অনুষ্ঠানে।
বিদায়!
কে কী পুরস্কার পেলেন
আজীবন সম্মাননা: মোশারফ হোসেন শামীম
বর্ষসেরা উদীয়মান: মনন রেজা
বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ: তহুরা খাতুন
বর্ষসেরা রানার আপ (দুজন): মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ: ঋতুপর্ণা চাকমা
পাঠকের ভোটে বর্ষসেরা: ঋতুপর্ণা চাকমা
এক ফ্রেমে সব পুরস্কার বিজয়ী
পাঠকের ভোটে বর্ষসেরা পুরস্কার ২০২৪ কে পাচ্ছেন?
শেষ পুরস্কার।
পুরস্কারটি দিতে মঞ্চে উঠলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও ২০০৪ সালে প্রথম আলোর প্রথম বর্ষসেরা খালেদ মাসুদ।
বিশেষ এই পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করলেন তিনি, ‘পাঠকের ভোটে প্রথম আলো বর্ষসেরা ঋতুপর্ণা চাকমা।’
দুটো ট্রফি হাতে ঋতুপর্ণা বললেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা শুধু এশিয়া নয়, বিশ্বমঞ্চেও নিয়ে যেতে চাই।’
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ২০২৪ পুরস্কার দিতে মঞ্চে ‘দাবার রানি’
বাংলাদেশের দাবার ‘রানি’খ্যাত রানি হামিদ মঞ্চে উঠলেন। সবার শ্রদ্ধার পাত্র এই ক্রীড়াবিদ বললেন, এবার প্রথম আলো বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের তারকা ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা।
সঞ্চালক বললেন, কান পাতলেই বাংলার আকাশে–বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয় ঋতুপর্ণা চাকমা! পুরস্কারটি পেয়ে কেমন লাগছে? ঋতুপর্ণা বললেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ। পরিবার থেকে টিমমেটদেরও ধন্যবাদ। এটা আমার জন্য বড় অর্জন।’
পায়ের জাদু প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বললেন, ‘জাদু বলতে কিছু নেই। এটা হলো কঠোর পরিশ্রম।’
বর্ষসেরা রানারআপ ২০২৪ পুরস্কার ক্রিকেটের
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার মঞ্চে উঠে ঘোষণা করলেন দুই রানার আপের মধ্যে একজন বিজয়ীর নাম।
হাবিবুল বললেন, বর্ষসেরা রানার আপ ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
মিরাজের মুখ থেকে বের হলো, দ্বিতীয় রানার আপের নাম। মিরাজ বললেন, ‘আমার পাশেই ছিল। তাসকিন!’
মিরাজ বললেন, ‘পুরস্কারটি পাবো ভাবিনি। ২০২৪ সালে কী করেছি মনে নেই। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই প্রথম আলোকে, তারা প্রতি বছর এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।’
তাসকিনের কাছে জানতে চাওয়া হলো, ২০২৪ সালটা তাঁর ক্যারিয়ারে সেরা কি না? জাতীয় দলের এ পেসার সবার আগে সামনে বসে থাকা কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদদের প্রতি সম্মান ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাসকিন বললেন, ‘সেরা বছর এখনো আসেনি।’
বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ ২০২৪ পুরস্কার কার?
পুরস্কারটি দিতে মঞ্চে উঠলেন ভারোত্তোলক মোল্লা সাবিরা সুলতানা।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের স্ট্রাইকার তহুরা খাতুন ২০২৪ সালের বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদ।
ময়মনসিংহের এই ফুটবলারকে এলাকার মানুষ ভালোবেসে ‘মেসি’ বলে ডাকেন। পরে ‘বাংলাদেশের মেসি’ নামে পরিচিত পান। ২০১৮ সালে একই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার এ পুরস্কার জিতে বাবার স্মৃতিচারণ করলেন তহুরা।
বিদেশের লিগে খেলার বিষয়ে তহুরা আক্ষেপ করলেন, ‘দেশে তো এত বড় বড় ক্লাব আছে, কিন্তু আমাদের স্বপ্ন কেন বাস্তবায়ন হয় না?’
আর্জেন্টিনার কিংবদন্তির নামে তকমা পাওয়া প্রসঙ্গে তহুরা বলেন, ‘এলাকার মানুষ ডাকত। আমারও ভালো লাগত।’
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো না মেসি প্রশ্নে তহুরা সোজাসাপ্টা মেসির কথা বলে দোয়া চাইলেন।
বর্ষসেরা উদীয়মান খেলোয়াড় ২০২৪ পুরস্কার কার?
পুরস্কারটি দেওয়ার জন্য মঞ্চে উঠলেন প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে প্রথমবার উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা হকি তারকা রাসেল মাহমুদ।
জুরিদের বিচার–বিশ্লেষণে পুরস্কারটি পেয়েছেন দাবাড়ু মনন রেজা।
দেশের সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক এই মাস্টার চারজন গ্র্যান্ডমাস্টারকেও হারিয়েছেন।
তাঁর হাতে ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন রাসেল মাহমুদ।
মনন ক্রেস্ট হাতে বললেন, ‘আগে এসে মনে হয়েছিল, ট্রফিটি কেন পেলাম না? এটা জয়ের ইচ্ছে ছিল।’
নিয়াজ, আসিফ, আসলাম ও সাবরিনার কণ্ঠে ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা...’
চমক!
নিয়াজ মোর্শেদ বক্তব্য শেষে মঞ্চেই দাঁড়ালেন। অতিথিদের আসন থেকে উঠে গেলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি তিন ক্রীড়াবিদ। সাবেক স্ট্রাইকার শেখ মোহাম্মদ আসলাম, সাবেক শুটার সাবরিনা সুলতানা ও আসিফ হোসেন এবং নিয়াজ নিজে সুর ধরলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের অবিষ্মরণীয় সেই গান, ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা...।’
দুর্দান্ত! দারুণ! এসব বললেও যেন কম হয়! সুরেলা পরিবেশনে প্রশান্তির ধারা বয়ে গেল হলরুমে।
বাংলাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার মঞ্চে...
শুরু হলো পুরস্কার পর্ব: প্রথমেই আজীবন সম্মাননা পুরস্কার
মঞ্চে দুই সঞ্চালক সমন্বয় ঘোষ ও শ্রাবণ্য তৌহিদা।
তাঁরা জানালেন, আজীবন সম্মাননা দিয়ে শুরু হচ্ছে পুরস্কার–পর্ব।
সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪ এর আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেলেন দেশের কিংবদন্তি স্প্রিন্টার মোশারফ হোসেন শামীম।
মঞ্চে মোশারফ হোসেন শামীমকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।
বাংলাদেশের সাবেক দ্রুততম এই মানব মাইক্রোফোন হাতে শামীম বললেন, ‘জীবন–সায়াহৃে এসে এই পুরস্কার অর্জন করতে পেরেছি, তারা যে আমাকে যোগ্য মনে করেছেন, সেজন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ।’
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বললেন...
হাসতে হাসতে মঞ্চে উঠলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। সব ধরনের খেলায় তাঁর আগ্রহ অতুলনীয়। খেলাধুলা প্রসঙ্গে শৈশবের স্মৃতি টানলেন তিনি। ১৯৫৪–৫৫ সালের দিকে নবাবপুরসহ আশপাশের এলাকায় খেলার কথা বললেন। সব ধরনের খেলাই খেলতেন। পাশাপাশি সেই সময়ে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের নানা ঘটনাও বললেন।
বেড়ে ওঠার সময়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন তারকাদের গল্প বললেন প্রথম আলো সম্পাদক। স্মৃতিচারণ করলেন সোনালি অতীতের।
আগামী দিনের ক্রীড়াঙ্গনকে কেমন দেখতে চান, সব ধরনের খেলাকে উৎকর্ষতার কোন চূড়ায় দেখতে চান, সেই প্রত্যাশাও জানালেন প্রথম আলো সম্পাদক।
বক্তব্যের শেষ ভাগে এসে বাংলাদেশের কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদদের সম্মানে প্রথম আলো সম্পাদকের করতালির আহবানে ফেটে পড়ল ওয়েসিসের গ্যালারি।
মঞ্চে সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন)
উৎপল শুভ্রের বক্তব্যের পর মঞ্চে উঠলেন সিটি গ্রুপের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী। বক্তব্যের এক অংশে তিনি বললেন, বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সঙ্গে আছে সিটি গ্রুপ। তাঁর আশা, আর্চারিতে একদিন বড় পদক পাবে বাংলাদেশ।
অতিথি আসনে উপবিষ্ট কিংবদন্তি সব ক্রীড়াবিদদের সামনে তিনি যেন ভক্ত বনে গেলেন! কিংবদন্তিদের প্রতি মুগ্ধতা ও শ্রদ্ধার কথা জানালেন সিটি গ্রুপের এই প্রতিনিধি।
মঞ্চে প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক
অনুষ্ঠান শুরুর ঘোষণা দিলেন প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র। সবাইকে বসতে বলার কথা বলে প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্যের কথা বললেন তিনি, ‘পৃথিবীতে যেমন ছোট খেলা, বড় খেলা বলে কিছু নেই, তেমনি সব ক্রীড়াবিদই সমান। তাই নির্দিষ্ট কোনো আসন নেই কারও জন্য। সবাই যেখানে খুশি সেখানে বসতে পারেন।’
লাল গালিচায় ক্রীড়াবিদরা
উপস্থাপক যাঁরা
খেলার ভুবনের মানুষদের মিলনমেলা নিয়ে এই অনুষ্ঠানের দুই সঞ্চালক সমন্বয় ঘোষ ও শ্রাবণ্য তৌহিদা
আমন্ত্রণ পেয়েই খুশি তহুরা, ঋতুপর্ণা
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমা এসেছেন অনুষ্ঠানস্থলে। তহুরা বলেছেন পুরস্কার মুখ্য নয়, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েই তিনি খুশি। একই কথা বলেছেন ঋতুপর্ণাও।
‘স্বচ্ছতার দিক দিয়ে এই পুরস্কারই সেরা’
সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার নিয়ে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে সাবেক ও বর্তমান ক্রীড়াবিদরা লিখেছেন। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদের কলাম পড়তে ক্লিক করতে পারেন নিচের লিংকে–
স্বচ্ছতার দিক দিয়ে এই পুরস্কারই সেরা
সাবেক ক্রীড়াবিদ বশীর আহমেদের কলাম ‘গ্রহণযোগ্যতাই এই পুরস্কারকে আলাদা করে দিয়েছে’ পড়তে পারেন।
স্বাগতম!
হোটেল সোনারগাঁওয়ের ওয়েসিস হল থেকে স্বাগতম! আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪ এর অনুষ্ঠান।
২০০৪ সালে এ পুরস্কার দেওয়া চালু হয়। প্রথম ক্রীড়া পুরস্কার দেওয়ার সময়েই ঠিক করে নেওয়া হয়েছিল, এ পুরস্কারের মূল সুর হবে সার্বজনীন উদ্যাপন। খেলার উদ্যাপন। খেলার মানুষদের নিয়ে উদ্যাপন। আজও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
খেলার ভুবনের মানুষদের এই অনুষ্ঠান নিয়ে আগ্রহটা বোঝা যায় নিচের ছবিগুলোয়।