সানজিদা আক্তার

সাফ ফুটবলে পাঁচ ম্যাচেই অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। আরও ছয়জন খেলেছেন বদলি হিসেবে। ছয়জন মাঠে নামার সুযোগ পাননি। তারপরও সবাই এই বিজয়ের অংশীদার। সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের ২৩ খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি লিখেছেন বদিউজ্জামান

সানজিদা আক্তার, মিডফিল্ডার

মেয়েরা হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলবে, ময়মনসিংহের কলসিন্দুর গ্রামের মানুষ একসময় তা কল্পনাও করতে পারত না। কিন্তু দিন বদলেছে। সেই কলসিন্দুর গ্রামেরই গর্বের আরেক নাম সানজিদা আক্তার। ২০১১ সালে যখন মেয়েদের ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য প্রথম ফুটবলার বাছাই করেন কলসিন্দুর স্কুলের তৎকালীন শিক্ষক মফিজ উদ্দিন, মাঠে সবার আগে নজর কাড়েন সানজিদা। বল রিসিভিং, মুভিং, পাসিং, ড্রিবলিং দিয়ে মুগ্ধ করেন কোচকে। শুরু থেকেই মাঠে নিখুঁত পাসের জন্য কোচের প্রিয় ফুটবলার হয়ে ওঠেন সানজিদা।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে স্নাতকে পড়া সানজিদার উঠে আসা ময়মনসিংহের অন্য মেয়েদের মতোই, বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে। এই টুর্নামেন্টে প্রথম খেলেন ২০১১ সালে। এরপর ২০১৪ সালে বয়সভিত্তিক জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৪ দলে সুযোগ পান। এরপর একে একে খেলেছেন এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬, অলিম্পিক বাছাই, এশিয়ান কাপের বাছাই কাপ, এসএ গেমস, বয়সভিত্তিক সাফ ও জাতীয় দলে। 

সানজিদাকে বলা হয় মেয়েদের ফুটবলের পোস্টার গার্ল। ভালো গান গাইতে পারেন। সুদর্শন চেহারার সানজিদা দুটি বিজ্ঞাপনে মডেলও হয়েছেন। ফিরিয়ে দিয়েছেন আরও অনেক বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব। সাফ ফাইনালের আগে দারুণ এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করে নেন। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দল যে ছাদখোলা বাসে করে ঢাকা শহর ঘুরেছিল, সেটা তো সানজিদার এক স্ট্যাটাসের সুবাদেই।