আজ সোমবার বেলা ১১টায় সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করার কথা ছিল জাতীয় ফুটবল দলের। ব্যাগ গুছিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন খেলোয়াড়েরাও। কিন্তু ভোর সাড়ে পাঁচটায় খেলোয়াড়দের কাছে খবর যায় সৌদি আরবে যাওয়া হচ্ছে না।
হঠাৎ সৌদি আরব সফর বাতিল হওয়ার কারণ, কোয়ারেন্টিন শিথিলসংক্রান্ত চিঠি এখনো পায়নি বাফুফে। চিঠি পাওয়া গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঠানোর ব্যাপারে আশাবাদী বাফুফে।
সৌদিযাত্রা বাতিল হওয়ায় সকালেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দল নিয়ে অনুশীলন করেছেন কোচ জেমি ডে। তবে অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জেমি হতাশাটা লুকাননি জেমি, ‘কোনো কিছু পরিকল্পনামতো না হলে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। খেলোয়াড়েরা যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গেল। ব্যাপারটি ভালো বলতে পারবে বাফুফে।’
সৌদি আরবে কবে যাওয়া হবে বা আদৌ যাওয়া হবে কি না—বিষয়টি নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা। তবে অল্প কয়েক দিনের জন্য গেলে লাভ হবে না বলে মনে করেন জেমি, ‘দু–তিন দিনের জন্য সৌদি আরবে গেলে প্রত্যাশানুযায়ী উপকার হবে না। তার চেয়ে বরং আগে কাতার যাওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে বাফুফের সঙ্গে আলোচনা করব।’
সৌদি আরব যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ম্যানেজার ইকবাল হোসেন, ‘কাল রাতে কোয়ারেন্টিন শিথিলের যে চিঠিটা পাওয়ার কথা ছিল, সেটা পায়নি বাফুফে। অফিস এখন কাজ করছে। হয়তো বিকেলে ইতিবাচক একটা বার্তা আপনাদের দিতে পারব।’ আজ সকালের অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন না বিপলু আহমেদ। এ ছাড়া স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকলেও অনুশীলনে নামেননি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তাঁদের ঘুমের সমস্যা ছিল বলে অনুশীলন করেননি বলে জানান ইকবাল।
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে আর ১০ দিন সময়ও নেই। এর আগে বিদেশি দলের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন সবাই। তাই হঠাৎ করে সফর বাতিল হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে মন খারাপ ফুটবলারদের।
গোলরক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, ‘সকালেই খবরটা পাই। একটু তো মন খারাপ হবেই। যেহেতু খেলোয়াড়েরা যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল, একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা খুব প্রয়োজন। সামনে বড় ম্যাচ আছে। সৌদি আরবে যেতে পারলে ভালো হয়তো। ওখানে গিয়ে যদি একটা ম্যাচও খেলতে পারি, তাহলে ভালো হবে। কারণ, কাতার আর সৌদি আরবের আবহাওয়া প্রায় একই রকম।’