ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের ‘আনিস’ নামের রহস্য কি?

আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ফ্রান্সিস তোরেসের জার্সির পেছনে কাল লেখা ছিল ‘আনিস’ নামটি
ছবি: প্রথম আলো

আপনার নাম আনিস?

না।

তাহলে আপনার জার্সির পেছনে আনিস লেখা কেন?

আমি জানি না (হেসে)।

কাল গোল করে ফেডারেশন কাপে আবাহনীকে সেমিফাইনালে তুলেছেন। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ফ্রান্সিস তোরেস হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। কিন্তু গতকালের ম্যাচটি টেলিভিশনে দেখে থাকলে ‘ফ্রান্সিস তোরেস’ নামটিতে একটু অবাক হতেই পারেন দর্শকেরা। কারণ, গোটা ম্যাচেই যে এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার নিজের জার্সিতে ‘আনিস’ নামটি নিয়ে খেলেছেন।

ব্রাজিলিয়ানদের নাম হয় বিরাট বিরাট। ফুটবলের কিংবদন্তি পেলের পুরো নাম এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। রোনালদিনহোর নাম রোনালদো দে অ্যাসিস মোরিয়া। রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার মার্সেলোর নাম উচ্চারণ করতে গিয়েও হোঁচট খেতে হয়—মার্সেলো ভিয়েরা দা সিলভা জুনিয়র। এমন উদাহরণ ভূরি ভূরিই আছে। আবাহনীর ফ্রান্সিসের নামও বিরাট লম্বা—ফ্রান্সিসকো ওয়াগসলি রদ্রিগেজ দে সুজা ফিলিও। সংক্ষেপ করে নিশ্চয়ই তাঁকে ডাকা হবে ‘তোরেস’ অথবা ‘ফ্রান্সিস’ নামে। কিন্তু তাঁর জার্সিতে ‘আনিস’ নামটি কেন! এটা নিয়ে কৌতূহল জেগেছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শুরু হয়েছে হাসিঠাট্টা।

আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু জানালেন আসল ঘটনাটা, ‘ও নিজের জার্সি ক্লাবে ফেলে মাঠে চলে গিয়েছিল। যখন এটি আবিষ্কৃত হয়, তখন আর স্টেডিয়াম থেকে ক্লাবে গিয়ে জার্সি নিয়ে আসা সম্ভব ছিল না। তাই আরেকটি জার্সি তাঁকে পরতে দেওয়া হয়েছে। ম্যাচ শুরুর আগে সেটি রেফারি ও ম্যাচ কমিশনারকে বলে নিয়েছিলাম।’

ফেডারেশন কাপ দিয়ে বাংলাদেশ অধ্যায় শুরু করেছেন তোরেস। তিন ম্যাচ খেলে কালই প্রথম গোল করেছেন ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। নিজের প্রথম গোলে শেষ সময়ে পাওয়া জয়ের আনন্দিতই তিনি, ‘শেষ দিকে আমার গোলে দল জয় পেয়েছে, এটা চমৎকার ব্যাপার। সারা ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি। শেষ দিকে এসে সেই ফলটাই পেয়েছি আমরা।’

কাল গোল করে আবাহনীকে ফেড কাপের সেমিতে তুলেছেন ফ্রান্সিস তোরেস।
ছবি: প্রথম আলো

আবাহনীর জার্সিবিভ্রাট নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে দুই অর্ধে দুই রঙের জার্সি পরে খেলেছিল তারা। সেদিন প্রথমার্ধে নীল রঙের জার্সি পরা আবাহনী দ্বিতীয়ার্ধে খেলেছিল হলুদ রঙের জার্সি গায়ে। তখন খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছিল, ম্যাচ জার্সি ছাড়াই মাঠে এসেছিল তারা। ফলে ওয়ার্মআপের জার্সি গায়ে চাপিয়েই ম্যাচ শুরু। পরবর্তী সময়ে ক্লাব থেকে জার্সি নিয়ে এসে বদল করে মাঠে নামা। অবশ্য বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও নিয়মবহির্ভূত নয়।