আরও একটু সম্মান পেতে চান নেইমার

একটু সম্মান–শ্রদ্ধা চান নেইমার, চান ভালোবাসাছবি: রয়টার্স

নেইমার বুঝে উঠতে পারছেন না, আর কী করতে হবে তাঁকে!

কাল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে পেরুকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। নেইমার একটি গোল করেছেন, গোল করিয়েছেন এভেরতন রিবেইরোকে দিয়ে। দারুণ এক রেকর্ডও করে ফেলেছেন ব্রাজিলীয় তারকা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তাঁর গোলের সংখ্যা ১২। রোনালদো নাজারিও, পেলে, রোনালদিনিও, রোমারিও, জিকো, সক্রেটিস, গারিঞ্চা, তোস্তাও—ব্রাজিলের জার্সি গায়ে যেসব বড় নাম মানুষের মুখে মুখে ঘোরে, ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পেয়েছে যেসব নাম, কারওই বাছাইপর্বে এত গোল নেই।

এত কিছুর পরও সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না নেইমারের। কাল রেকর্ড গড়ার ম্যাচেও সমালোচিত হয়েছেন তিনি। টেলিভিশন ধারাভাষ্যকারেরা তো বটেই, নেইমারের পারফরম্যান্সে খুশি হতে পারছেন না ব্রাজিল–সমর্থকেরাও। তাঁদের অভিযোগ, মাঠে অযথা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছেন নেইমার। ফর্মও ঠিক আগের মতো নয়। ‘আগের মতো নয়’ বলতে নেইমার যে ঝলক দিয়ে ‘নেইমার’ হয়েছেন, ঠিক তেমন।

কাল হলুদ কার্ড দেখেছেন নেইমার
ছবি: রয়টার্স

নেইমার সব শুনে, দেখে চরম হতাশ। তিনি মনে করেন, ব্রাজিল–সমর্থকদের কাছ থেকে আরও একটু সম্মান ও শ্রদ্ধা পেতে পারেন তিনি, ‘আমি জানি না ব্রাজিলের জার্সি গায়ে আমাকে আর কী করতে হবে! আর কী করলে ব্রাজিল–সমর্থকেরা এই নেইমারকে আরও একটু সম্মান করবে, আরও একটু শ্রদ্ধা জানাবে!’

গত সপ্তাহে চিলির বিপক্ষে ব্রাজিলের ১-০ গোলে জয়ের পর নেইমারকে নিয়ে খুব সমালোচনা হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তো রীতিমতো ট্রলই ছড়িয়েছে। সে ম্যাচে বেশ কয়েকটি ছবিতে মনে হচ্ছিল, নেইমার কিছুটা মুটিয়ে গেছেন। নেইমার জার্সি তুলে পেট দেখিয়ে মাঠেই সেই সমালোচনার জবাব দিয়েছিলেন।

পেরুর বিপক্ষে কাল গোল করে ব্রাজিলের জার্সিতে তিনি এখন সবার ওপরে
ছবি: রয়টার্স

নেইমারের কাছে এসব নতুন কিছু নয়, ‘এটা কি নতুন কিছু? অনেক দিন ধরেই এসব হয়ে চলেছে। আপনারা যাঁরা সাংবাদিক আছেন, যাঁরা টেলিভিশনে ধারাভাষ্য দেন, সবাই মিলেই এসব করছেন। অনেক সময় আমি সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারই দিতে চাই না।’

মিডিয়ার সঙ্গে সব সময়ই অম্লমধুর সম্পর্ক নেইমারের। সেই সান্তোসে থাকার সময় থেকেই এমন। তাঁকে ভালোবাসার মানুষের অভাব নেই। কিন্তু পান থেকে চুন খসলে ধুয়ে দেওয়ার মানুষও কম নেই। নেইমার নিজেও তো সেই সলতেয় আগুন দিয়েছেন অনেক সময়। বিভিন্ন আচার-আচরণ, উদ্দাম জীবনযাপনেও ফুটে উঠেছে নেইমারের মধ্যকার অস্থিরতা।

আপাতত নেইমার ব্রাজিল–সমর্থকদের কাছ থেকে একটু বেশিই ভালোবাসা চান।