আরও ৩ ঘণ্টা খেললেও গোল করতে পারত না বার্সা
মাঝে লেভান্তের বিপক্ষে ম্যাচটাই যা ব্যতিক্রম। সে ম্যাচে হয়তো নিজেদের নতুন ‘নাম্বার টেন’ আনসু ফাতির চোট থেকে ফেরাটা উদ্দীপ্ত করেছিল বার্সেলোনাকে। সেটি তাদের জিতিয়েছিল ৩–০ গোলে। দুর্বল লেভান্তের বিপক্ষে সে ম্যাচটা বাদ দিলে বার্সা গোল করতে পারছে কই?
গোল করা তো দূরের কথা, চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম দুই ম্যাচে গোলে একটাও শট নিতে পারেনি দলটা। বায়ার্ন মিউনিখ আর বেনফিকার কাছে উল্টো দুই ম্যাচ মিলিয়ে আধা ডজন গোল হজম করে বসেছে বার্সেলোনা। গ্রানাদা-কাদিজের মতো ক্লাবগুলোর বিপক্ষেও ভোঁতা ছিল বার্সেলোনার আক্রমণভাগ।
গত রাতে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও যে সমস্যার সমাধান হয়নি। উল্টো দুই গোল খেয়ে হারতে হয়েছে। বার্সেলোনার যন্ত্রণাটা আরও বাড়িয়েছে গোলদাতার নাম। দুই গোলের একটি যে করেছেন লুইস সুয়ারেজ! কোমানের পরিকল্পনায় নেই বলেই যে সুয়ারেজকে গত বছর দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছিল বার্সেলোনা।
সব মিলিয়ে আক্রমণভাগ নিয়ে বেশ ভালো হ্যাপায় আছে বার্সেলোনা, যা খেলোয়াড়দেরও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কীভাবে রক্ষণ করতে হবে, কীভাবে আক্রমণে যেতে হবে, তা নিয়ে বার্সেলোনার প্রতিটি খেলোয়াড়ই যেন সংশয়ে ভুগছেন। যে বিরক্তির প্রকাশ দেখা গেছে গত রাতে। সুয়ারেজের জয়সূচক গোলের পর ক্লাবের পুরোনো দুই যোদ্ধা জেরার্দ পিকে ও সের্হিও বুসকেতসকে মাঠের মধ্যেই তর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।
ম্যাচ শেষে পিকে এতটাই বিরক্ত যে বলেই বসেছেন, আরও অনেকটা সময় খেললেও নাকি আতলেতিকোর জমাট রক্ষণ ভেঙে গোল করা সম্ভব ছিল না বার্সেলোনার পক্ষে, ‘আমরা আরও তিন ঘণ্টা ধরে খেললেও আতলেতিকোর বিপক্ষে গোল করতে পারতাম না।’ পিকের কথা শুনে আতলেতিকোর ডিফেন্ডাররা নিজেরাই নিজেদের পিঠ চাপড়ে দিচ্ছেন হয়তো!
কিন্তু বুসকেতসের সঙ্গে কী নিয়ে লেগে গিয়েছিল পিকের? সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই সেন্টারব্যাক, ‘আমরা এটা নিয়ে আগেও কথা বলেছিলাম যে কখন লেমার জোয়াও ফেলিক্সের উদ্দেশে বল পাঠায় আর কখন ফেলিক্স সে বলটা ধরার জন্য আমাদের রক্ষণভাগে ঢুকে গিয়ে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। তখন ফেলিক্সকে অনুসরণ করা একজনের কাজ। সে কাজটা আমরা করতে পারিনি। ভয়, আশঙ্কা যে কারণেই হোক না কেন।’
২৩ মিনিটে গোল খেয়ে বসে বার্সেলোনা। লুইস সুয়ারেজে অসাধারণ এক পাস থেকে দুর্দান্ত গোলে আতলেতিকোকে এগিয়ে দেন টমাস লেমার। জোয়াও ফেলিক্সের অসাধারণ এক পাস থেকে ডান প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত এক শটে আতলেতিকোর পক্ষে ব্যবধান ২-০ করেন সুয়ারেজ।
এই হারের ফলে লিগের পয়েন্ট তালিকায় নবম অবস্থানে নেমে গেছে বার্সেলোনা। যদিও আতলেতিকোর চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা।