আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের ওপর করোনার ‘আছর’

ছুটি কাটাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।ছবি: টুইটার

করোনাভাইরাসের সঙ্গে সখ্য ভালোই জমেছে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের।

পাওলো দিবালার তো করোনা থেকে মুক্তি পেতে ঘাম ছুটে গিয়েছিল। প্রথমবার ‘পজিটিভ’ হওয়ার পর তাঁর শরীর থেকে করোনা সহসা বিতাড়িত হয়নি। আরও তিনবার পজিটিভ হয়েছেন। এবার আলোচনায় আনহেল ডি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেস। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে হারের পর ছুটি কাটাতে সতীর্থদের সঙ্গে স্পেনের ইবিজায় গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার এই দুই ফুটবলার। ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘লেকিপ’ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ পজিটিভ সন্দেহে প্যারিসে ফিরে ‘কোয়ারেন্টিন’ এ সময় কাটাচ্ছেন ডি মারিয়া ও পারেদেস। এদিকে পিএসজি খেলোয়াড়দের নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছে, তাদের দুজন ফুটবলার করোনা পজিটিভ।

ডি মারিয়া ও পারেদেসের সঙ্গে ইবিজা সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন নেইমার, মাউরো ইকার্দি, আন্দের হেরেরা ও কেইলর নাভাস। তাঁরাও করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে সন্দেহের কথা জানানো হয়েছে লেকিপ-এর প্রতিবেদনে। এ তো গেল ডি মারিয়াদের নিয়ে সন্দেহের খবর। এদিকে আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড। ক্লাবটির ১৪জন খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ। আরও ৫ কোচিং স্টাফ মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৯! ক্লাবটি অফিশিয়াল বিবৃতিতে খবরটি নিশ্চিত করলেও কারও নাম প্রকাশ করেনি।

আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের ভালোই ভোগাচ্ছে করোনা।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য অনুশীলন মুলতবি রেখেছে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলে সবচেয়ে সফল এ ক্লাব। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, একসঙ্গে অনুশীলন চালুর পর প্রতি সপ্তাহে সবার অন্তত দুবার পরীক্ষা করে হয়েছে। ক্লাবের দাবি সব মিলিয়ে কমপক্ষে ৫০০বার করোনা পরীক্ষা করোনা হয়েছে। ২৮ থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে করা পরীক্ষায় বোকার স্কোয়াডে করোনার মহামারি ধরা পড়ে। এরপর পজিটিভ হওয়া খেলোয়াড়দের যাঁর যাঁর কক্ষে কোয়ারেন্টিন-এ রাখা হয়েছে। তবে এর আগে খেলোয়াড়দের জৈব সুরক্ষিত পরিবেশের মধ্যে রেখেই হোটেল থেকে এজেইজার অনুশীলন কেন্দ্রে নিয়ে গেছে বোকা।

বোকায় করোনা আক্রান্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে চারজনই গোলরক্ষক। এদিকে কোপা লিবার্তোদোরেসে ১৭ সেপ্টেম্বর মাঠে নামার কথা ছিল বোকার। ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে সেপ্টেম্বরে মোট তিনটি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা জটিল হয়ে উঠবে, কোনো গোলরক্ষক ছাড়া মাঠে নামার কাজটা একটু কঠিন বটে।