আর্জেন্টিনার রেকর্ড ছুঁতে চায় বাংলাদেশের ক্লাব

ফর্টিজ ফুটবল ক্লাব দলছবি: সংগৃহীত

‘আপনারা যে ২৭ ম্যাচ অপরাজিত, জানেন?’ প্রশ্ন শুনে ফর্টিজ ফুটবল ক্লাবের মিডফিল্ডার কৃষ্ণ মালির মুখে বিস্ময়, ‘বলেন কি! আমরা অনেক দিন ধরে হারি না। কিন্তু তাই বলে ২৭ ম্যাচ হয়ে গেছে, বিষয়টি জানা ছিল না।’

পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে দারুণভাবেই এগিয়ে চলেছে ফর্টিজ। দুই মৌসুম মিলিয়ে দলটি ২৭ ম্যাচ অপরাজিত। গত ২৭ ম্যাচে ১৭ জয় ও ১০ ড্র করেছে তারা। সর্বশেষ ড্র গতকাল কমলাপুর স্টেডিয়ামে আজমপুর ফুটবল ক্লাব উত্তরার সঙ্গে (গোলশূন্য)।

গত বছর প্রথমবারের মতো সরাসরি পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে নাম লিখিয়ে শুরুর ৮ ম্যাচের তিনটিতে হারে ফর্টিজ। সর্বশেষ হার ২০২১ সালের ১৩ মার্চ। তবে লিগের তৃতীয় হওয়ায় উঠতে পারেনি প্রিমিয়ারে।

সেই দলের ১৭ খেলোয়াড় ধরে রেখে এবার কোচ মিলন মোল্লা ও সহকারী কোচ আতিকুর রহমানের (মিশু) নেতৃত্বে দলটি নিজেদের মেলে ধরেছে লিগে। প্রিমিয়ার লিগে ওঠার লক্ষ্য পূরণে ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে এখন ফর্টিজ। ৭ জয়ের বিপরীতে ৬ ড্র।

সেই ফর্টিজ এবার ছুঁতে চাচ্ছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের কীর্তি। লিওনেল মেসির দল আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বশেষ ৩১ ম্যাচে হারেনি। আর্জেন্টাইনদের সেই অপরাজেয় ধারাকেই পাখির চোখ করেছেন ক্লাবটির সহসভাপতি শাহিন হাসান।

কাল মাঠে দাঁড়িয়ে তিনি বলছিলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে আর্জেন্টিনা দলকে সাপোর্ট করি। তারা এই মুহূর্তে ৩১ ম্যাচে অপরাজিত আছে। আমি চাই আমার দল আর্জেন্টিনার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলুক।’

ফর্টিজ ফুটবল ক্লাব
ছবি: সংগৃহীত

টানা ২৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রহস্য কী? ফর্টিজের মিডফিল্ডার কৃষ্ণ মালি কাল কমলাপুর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, ‘মোহামেডান স্পোর্টিং, রহমতগঞ্জ ও বসুন্ধরা কিংসে ছিলাম আমি। ফর্টিজের সুযোগ-সুবিধা অনেকটা বসুন্ধরা কিংসের মতোই। তাই আমরা খেলোয়াড়েরা জানপ্রাণ দিয়ে খেলছি। এই দলটি প্রিমিয়ারে উঠলে ফুটবলের জন্যই ভালো।’

একই অভিমত কোচ মিলন মোল্লারও। ফর্টিজের ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে সাবেক এই গোলরক্ষক বলেন, ‘আমরা একটা দল হিসেবে খেলে সাফল্য পাচ্ছি। আশা করি এবার চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারব। সাধারণত চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রিমিয়ারে ওঠা দলগুলোর আর্থিক অবকাঠামো ভালো থাকে না। তাই টিকে থাকতে পারে না। তবে ফর্টিজের সেই সমস্যা নেই।’

ফর্টিজ দাঁড়াচ্ছে খেলোয়াড়দের পাশেও। চলতি মৌসুমে দলের দুজন খেলোয়াড় চোট পেলে ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁদের অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে কোনো ক্লাবের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়দের অস্ত্রোপচার করানোর ঘটনা ব্যতিক্রমই।