ইংল্যান্ডের আছে এক হ্যারি কেইন

>
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে আশাবাদী হ্যারি কেইনকে নিয়ে। ছবি: রয়টার্স
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে আশাবাদী হ্যারি কেইনকে নিয়ে। ছবি: রয়টার্স
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ একজন ইংলিশ—জেমি ডে। এই তো কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে এসে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। আজ কলম্বিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি তিনি দেখবেন গভীর আগ্রহ নিয়ে। নিজ দেশের জন্য আবেগ লুকিয়েও তাঁর বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ইংল্যান্ডের সম্ভাবনার কথাই


জেমি ডে গত ১৮ জুন দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে। আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর অধীনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। জেমির সঙ্গে একটি ব্যাপার মিলে গেছে কাকতালীয়ভাবেই। যেদিন তিনি বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছেন, সেদিনই রাশিয়ায় বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল তাঁর দেশ ইংল্যান্ড। 

বাংলাদেশে বসে নিজের দেশের ফুটবল উপভোগ করছেন জেমি। ঢাকায় পা রেখেই রাতে হোটেলে বসে দেখেছেন তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যারি কেইনের হ্যাটট্রিকে পানামাকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে হারলেও দ্বিতীয় পর্বটা বড় স্বপ্ন নিয়েই শুরু করতে যাচ্ছে ইংলিশরা। ধাপে ধাপে এগিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের দীর্ঘ হাহাকারটা ঘোচাতে চায় তারা। ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর এতে যে কোনো সাফল্যই নেই, তাদের
তিন ম্যাচে আট গোলের বিপরীতে তিন গোল হজম। পরিসংখ্যানটা আহামরি কিছু না হলেও ফেলে দেওয়ার নয়। বরং পরিসংখ্যানের ধার না ধেরে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সই বেশি মনে ধরেছে জেমির। তারুণ্যনির্ভর এই দল অনেক দূর যাবে বলেও মনে করেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ। কত দূর যাবে—সেই ভবিষ্যদ্বাণী না করতে চাইলেও আজ কলম্বিয়াকে যে ইংল্যান্ড হারাবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই তাঁর।

ইংল্যান্ড রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা তরুণ দল। সামনে থেকে দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২৪ বছর বয়সী হ্যারি কেইন। এই তারুণ্যই দলটির সবচেয়ে বড় শক্তি বলে মনে করেন জেমি, ‘কলম্বিয়ার বিপক্ষে আমি ইংল্যান্ডকে অনেক এগিয়ে রাখব। আমাদের দলটা অনেক তরুণ। ওরা মাঠে নেমে বিন্দুমাত্র ভয় পায় না, পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই খেলে। তাদের গতি ও শক্তিতে কলম্বিয়া কুলিয়ে উঠতে পারবে না।’

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কলম্বিয়া মোট গোল করেছে পাঁচটি। পাঁচ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আছেন ইংলিশ অধিনায়ক কেইনই। আজ তাঁদের অধিনায়কের কাছেই কলম্বিয়া উড়ে যাবে বলে মনে করেন জেমি, ‘আমাদের আক্রমণভাগ ঠেকানোর জন্য কলম্বিয়াকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। শেষ পর্যন্ত পারবে বলেও মনে হয় না। দেখেছেন তো গোলপোস্টের সামনে হ্যারি কেইন কতটা ভয়ংকর।’

শুধু কেইন কেন, ইংল্যান্ডের এই দলটা যে অন্য রকম, তা এত দিনে সবার জানা হয়ে যাওয়ার কথা। একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল অথচ দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে এবার বিশ্বকাপে এসেছে ১৯৬৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। এখন পর্যন্ত তারা যা খেলছে, তাতে হিসাবে তাদের রাখতে হচ্ছেই। নিজের দেশকে নিয়ে আশার বীজ বুনছেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচও।