এবার তুরস্কের আরেক ‘দেমির’ বার্সেলোনায়

এমরে দেমিরছবি : টুইটার

তুরস্কের খেলোয়াড়দের প্রতি বার্সেলোনার একটা আগ্রহ সব সময়ই ছিল। সেই ২০০২ বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়ে ফেনেরবাচে থেকে বার্সেলোনায় নাম লিখিয়েছিলেন গোলকিপার রুস্তু রেকবার। গত দশকেই আতলেতিকোতে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে মিডফিল্ডার আরদা তুরান খেলে গেছেন বার্সার হয়ে।


রেকবার-তুরানদের পথ ধরে কয়েক দিন আগেই বার্সেলোনায় এসেছেন অস্ট্রিয়ার তুর্কি বংশোদ্ভূত তরুণ ফরোয়ার্ড ইউসুফ দেমির। র‍্যাপিড উইয়েন থেকে যদিও ধারে এসেছেন, তা–ও কোমানের পরিকল্পনায় দেমির যে বেশ ভালোভাবেই আছেন, সেটি বোঝা গেছে। ডিপাই-কুতিনিওদের সঙ্গে এর মধ্যে চার ম্যাচও খেলে ফেলেছেন দেমির।

তিনি আলো ছড়াতেই এবার আরেক দেমিরের দিকে হাত বাড়িয়েছে বার্সেলোনা। ১৭ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের নাম এমরে দেমির। কায়সেরিস্পোর থেকে তুরস্কের এই ফরোয়ার্ডকে আনছে বার্সা।


বার্সেলোনা তাঁদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, এই দেমিরকে আনতে ২০ লাখ ইউরো খরচ হয়েছে তাদের। ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এমরে দেমিরের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বাইআউট ক্লজও নির্ধারণ করা হয়ে গিয়েছে। বার্সেলোনার সঙ্গে দেমিরের চুক্তি শেষ হওয়ার আগে অন্য কোনো ক্লাব আগ্রহী হলে, সে ক্লাবকে ৪০ কোটি ইউরো পরিশোধ করে দেমিরকে কিনতে হবে।

ইউসুফ দেমির
ছবি : রয়টার্স

তবে আপাতত কায়সেরিস্পোরের হয়েই খেলবে দেমির, মৌসুম শেষ হলে বার্সার যুবদলের হয়ে খেলানো হবে তাকে। সেখানে পাশ করতে পারলেই ব্যস, ইউসুফ দেমিরের মতো নিয়মিত ডিপাই-কুতিনিওদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়ে যাবেন এমরে দেমিরও।


মেসি চলে যাওয়ার পর হন্যে হয়ে ‘আগামীর মেসি’ খুঁজছে বার্সেলোনা। সে লক্ষ্যেই হয়তো এবার তুরস্ক থেকে এমন একজনকে নিয়ে এসেছে তারা, যিনি মেসির মতোই বাঁ পায়ের খেলোয়াড়, আক্রমণভাগের যেকোনো পজিশনে খেলতে পারে।

বার্সেলোনা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, শুধু আক্রমণই নয়, আধুনিক যেকোনো ফরোয়ার্ডের মতো রক্ষণেও সাহায্য করে এমরে দেমির। ২০১৯ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তুরস্কের লিগে কায়সেরিস্পোরের হয়ে অভিষেক হয় এমরে দেমিরের। তুরস্কের লিগ ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এই খেলোয়াড়। সে মৌসুমে ৩১ ম্যাচ খেলে ৩ গোল করে দেমির।


এখনো তুরস্কের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে খেলছে। উন্নতির ধারা বজায় থাকলে জাতীয় দলের দরজার দেমির খোলাই দেখছে।