এমন খরা এগারো বছর ধরে দেখেনি রিয়াল

ট্রফিহীন একটা মৌসুম কাটাল রিয়াল।ছবি: রয়টার্স

মাদ্রিদের এক অংশে আজ উৎসব, আলোর রোশনাই। আরেক পাশে যেন কবরের নীরবতা। কান পাতলে রিয়াল সমর্থকদের দীর্ঘশ্বাস শোনা যাবে হয়তো। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে জিনেদিন জিদানের দল লিগ শিরোপা হারিয়েছে আতলেতিকোর কাছে।

ওদিকে ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়ে বার্সেলোনার জার্সি পরে রিয়ালকে জ্বালানো লুইস সুয়ারেজ এবার আতলেতিকোর জার্সি গায়ে আবির্ভূত হয়েছেন রিয়ালের যম হিসেবে। তাঁর গোলেই তো নিশ্চিত হয়েছে, মাদ্রিদের সাদা অংশে নয়, বরং লাল-সাদা অংশেই যাবে শিরোপা। আর এই শিরোপা যাওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই রিয়ালের জন্য নিশ্চিত হয়েছে আরেকটা কষ্টের বিষয়।

২০০৯-১০ মৌসুমের পর এই প্রথম ট্রফিহীন মৌসুম কাটাল রিয়াল। ছোট কিংবা বড়, কোনো ধরনের শিরোপাই এবার জেতেনি রিয়াল মাদ্রিদের কপালে। অনেকে বলতে পারেন, কই, বছর দুয়েক আগে জিদান যখন ক্লাব ছেড়ে বিদায় নিয়েছিলেন, রিয়ালকে সামলাতে যখন হুলেন লোপেতেগি আর সান্তিয়াগো সোলারিকে আনা হয়েছিল, তখনো তো শিরোপার স্বাদ পায়নি রিয়াল!

কিন্তু আসলে তা নয়, সেবারও ঠিকই ক্লাব শিরোপা জিতেছিলেন রামোস-বেনজেমারা। কিন্তু এবার তা-ও জোটেনি কপালে। চ্যাম্পিয়নস লিগে অধোবদনে বিদায় নিতে হয়েছে চেলসির কাছে হেরে, যে চেলসি কিছুদিন পরেই ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে নামবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। কোপা দেল রে তেও একই দশা। সেখানে আবার বার্সা, সেভিয়া কিংবা আতলেতিকোর মতো প্রতিষ্ঠত কোনো শক্তি নয়, রিয়াল হেরেছিল পুঁচকে আলকোয়োনের কাছে।

বেনজেমার অভিব্যক্তিতেই বোঝা যাচ্ছে রিয়ালের গল্পটা
ছবি: রয়টার্স

এমন শিরোপাশূন্য মৌসুম রিয়াল সর্বশেষ কাটিয়েছিল ১১ বছর আগে। রাউন্ড অব সিক্সটিনে সেবার ক্যাসিয়াস-রামোসদের হাতে বাতি ধরিয়ে দিয়েছিল আলকরকন নামের এক পুঁচকে ক্লাব। চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিওঁর বিপক্ষে হারতে হয়েছিল রিয়ালকে।

১১ বছরে এমন মৌসুম কাটায়নি রিয়াল
ছবি: রয়টার্স

ওই ভুলে যাওয়ার মৌসুমের পর রিয়াল যথারীতি প্রতি মৌসুমেই কিছু না কিছু জিতেছে। সমর্থকদের ভালোবাসার প্রতিদান দিয়েছে। এগারো বছর পর সেই বাজে সময়টা আবারও যেহেতু ফিরে আসলই, এখন রিয়াল–সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকবে আগেরবার যেমন রিয়াল ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, এবারও যেন তা–ই হয়!