‘ওয়েলস স্টোক সিটির মতো এক দল’

ওয়েলস অনেকটা স্টোক সিটির মতো দল?ছবি: রয়টার্স

ইংলিশ লিগে একসময় ম্যানচেস্টার সিটির কোচ ছিলেন ইতালি কোচ রবার্তো মানচিনি। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়টায় তিনি দেখেছেন প্রিমিয়ার লিগের বড় দলগুলোকে কীভাবে স্টোক সিটি শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জ জানাত! এবারের ইউরো ২০২০–এ মানচিনির স্টোক সিটিকে খুব মনে পড়ছে ওয়েলসের খেলা দেখে। তবে আজ রাতে গ্যারেথ বেল, অ্যারন রামসিদের ওয়েলসের মুখোমুখি হওয়ার আগে মানচিনির শ্রদ্ধা কাড়ছে তাদের সামর্থ্যও।

ওয়েলসের বিপক্ষে একটি পয়েন্ট দরকার ইতালির পরের রাউন্ডে যেতে।
ছবি: রয়টার্স

কেবল স্টোক সিটির মতো শারীরিক শক্তিনির্ভরতা নয়, ওয়েলস দলটি যে টেকনিক্যালি অনেক শক্তিশালী, সেটি বলতে ভোলেননি ইতালি কোচ, ‘স্টোক খুব চ্যালেঞ্জিং দল ছিল। কিছুতেই তাদের ভাঙা যেত না। তাদের খেলার ধরনটা ছিল খুবই শক্ত। ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচটিও খুব কঠিন হতে যাচ্ছে কারণ, তারাও স্টোক সিটির মতোই। কিন্তু তারা টেকনিক্যাল দিক দিয়েও সামর্থ্যবান দল।’

ওয়েলসের খেলোয়াড় তালিকাটাই মানচিনিকে বেশ ভাবাচ্ছে, সে অভিব্যক্তিটা ইতালি কোচ লুকাননি, ‘ওদের খেলোয়াড় তালিকাটা দেখুন। জো অ্যালেন, গ্যারেথ বেল, ড্যানিয়েল জেমস। তাদের যথেষ্ট পরিমাণ প্রতিভাবান ও উঁচু মানের খেলোয়াড় আছে।’

ইতালি কোচ রবার্তো মানচিনির শ্রদ্ধাও থাকছে ওয়েলসের জন্য
ছবি: রয়টার্স

ইউরোয় এবার বড় দল আর মাঝারি মানের দলের পার্থক্যটা যে কম মনে হচ্ছে, সেটাও মানচিনির চিন্তিত হওয়ার কারণ। গতকালই ফ্রান্সের সঙ্গে এগিয়ে গিয়েও ড্র করেছে হাঙ্গেরি। ইংল্যান্ডকে তো গোলই করতে দেয়নি স্কটল্যান্ড (০-০)। ইতালি অবশ্য গ্রুপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে ছিল দারুণ। প্রথম ম্যাচে তুরস্ককে ৩-০ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচেও সুইজারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে তারা। এখনো পর্যন্ত ইতালি তাদের শক্তি ও সামর্থ্যের পূর্ণ সদ্ব্যবহারই করেছে।

ইউরোর প্রথম দুই ম্যাচের জয়ে ইতালি টানা ১০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় পেয়েছে। একটি ম্যাচেও মানচিনির দলের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি কোনো দল। মানে তারা কোনো গোল খায়নি। ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচে এদিক-সেদিক কিছু না হলে টানা ৩০ ম্যাচে অপরাজিত থেকে রেকর্ড গড়বে ‘আজ্জুরি’রা। এর আগে ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সালে এমনি করে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত ছিল চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

গত ১০ ম্যাচে কোনো গোল খায়নি ইতালি।
ছবি: রয়টার্স

এবারের ইউরোয় প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতালি এরই মধ্যে পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করে রেখেছে। আর একটি পয়েন্ট পেলেই ‘এ’ গ্রুপে নিজেরে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে ফেলবে তারা। তবে মানচিনি এসব নিয়ে ভাবছেনই না। তাঁর কাছে প্রতিটি দিনই নতুন। প্রতিটি ম্যাচই নতুন করে চ্যালেঞ্জের, ‘ওয়েলসের বিপক্ষেও আমরা এমনভাবে খেলব, যেন সেটি আমাদের প্রথম ম্যাচ। “অবশ্যই জিততে হবে”—এমন ম্যাচে আমরা যেভাবে খেলি ওয়েলসের বিপক্ষেও আমরা ঠিক সেভাবেই খেলব।’

তবে আজ ইতালি দলে যে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, মানচিনির কথায় সেটি স্পষ্ট, ‘১০ দিনের মধ্যে তৃতীয় বড় ম্যাচ। ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে খেলা। দলে কিছু নতুন মুখ দরকার আমাদের।’