করোনার কাছে হেরে বিদায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের

বাদ পড়ার খবর শুনে মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন আল হিলাল ক্লাবের খেলোয়াড়েরা।ছবি: এএফপি

করোনার এই সময়ে পেশাদার ফুটবল খেলতে দলে সব মিলিয়ে ১৩ জন খেলোয়াড় থাকলেই চলে। কিন্তু পরশু এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১১ জনের বেশি খেলোয়াড় রাখতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আল হিলাল সৌদি এফসি, যাদের তিনজনই আবার গোলরক্ষক। সৌদি ক্লাবটির উপায় ছিল না, দলের বেশির ভাগ সদস্যই যে করোনায় আক্রান্ত!

ফল, ম্যাচ খেলার ন্যূনতম শর্ত পূরণ না করতে পারায় টুর্নামেন্ট থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বাদই দিয়ে দিয়েছে এএফসি। এএফসি অবশ্য ‘বাদ’ শব্দটি লেখেনি। এশিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি বলছে, তারা ধরে নিয়েছে আল হিলাল নিজেরাই নাম প্রত্যাহার করেছে।

কোন ধারায় আল হিলালকে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যাখ্যা নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়েছে এএফসি, ‘সৌদি আরবের আল হিলাল এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে (পশ্চিমাঞ্চল) গ্রুপ ‘‘বি’’তে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাবাব আল আহলি দুবাই ক্লাবের বিপক্ষে প্রয়োজনীয় ১৩ জন খেলোয়াড়ের নাম দিতে পারেনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে এএফসি প্রতিযোগিতার বিশেষ ধারার ৪.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধরে নেওয়া হয়েছে আল হিলাল প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে।’

গ্রুপ পর্বে আল হিলালের শেষ ম্যাচ ছিল এটি। এই ম্যাচের আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলেছিল তারা। কিন্তু এখন টুর্নামেন্ট থেকে সৌদি ক্লাবটির সব ম্যাচের ফলই বাদ দিয়েছে এএফসি। যার অর্থ ‘বি’ গ্রুপ হয়ে গেছে তিন দলের। আর এই গ্রুপ থেকে নকআউট পর্বে উঠেছে উজবেকিস্তানের পাখতাকোর ও আরব আমিরাতের শাবাব আল আহলি।

গত সপ্তাহে আল হিলালের ১৫ জন খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ হন। এরপর সৌদি ক্লাবটি এএফসিকে ম্যাচ পিছিয়ে দিতে অনুরোধ করে। কিন্তু এএফসি সেই অনুরোধ রাখেনি। কেন রাখেনি, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে তারা, ‘টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলেরই ৩৫ জন খেলোয়াড়ের নাম নিবন্ধনের সুযোগ ছিল, কিন্তু আল হিলাল ৩০ জনের নাম নিবন্ধন করায়। দলটি আবার কাতারের দোহায় খেলতে আসে মাত্র ২৭ জনকে নিয়ে। এর ওপর ম্যাচ পিছিয়ে দিলে তা বর্তমান সূচিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলত। তাই অনুরোধটি রাখা হয়নি।’

এর আগে গত রোববার নিজেদের আগের ম্যাচটিতে আল আহলির দলে ছিলেন মাত্র ১৪ জন খেলোয়াড়।