কাতার বিশ্বকাপের পর নেইমারদের ছেড়ে যাচ্ছেন তিতে

ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের কোচ তিতেছবি: এএফপি

কার্লোস দুঙ্গা ছাঁটাই হওয়ার পর ২০১৬ সালে ব্রাজিল কোচের দায়িত্ব নেন তিতে। এই ছয় বছরে ব্রাজিল কোচ হিসেবে একেবারে খারাপ করেননি।

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা ব্রাজিলের জন্য সাফল্য না হলেও ব্রাজিলকে ২০১৯ কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন তিতে। ২০২১ কোপা আমেরিকার ফাইনালে তুলেছেন। এখন ব্রাজিল কোচ হিসেবে থামার সময়টাও দেখতে পাচ্ছেন তিতে।

এ বছর কাতার বিশ্বকাপের পর পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কোচের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ব্রাজিলিয়ান টিভি চ্যানেল স্পোরটিভিকে ৬০ বছর বয়সী তিতে বলেন, ‘বিশ্বকাপ পর্যন্তই আমি আছি। এখানে মিথ্যা বলার কিছু নেই। শুধু বিশ্বকাপটা ছাড়া আমার আর কিছু জেতা বাকি নেই।’

২০১৮ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে ব্রাজিল তাঁর হাত ধরে। বেলজিয়ামের কাছে ২-১ গোলের হারে শেষ আট থেকে ছিটকে পড়ে তিতের দল। এরপর অবশ্য ২০১৯ কোপা আমেরিকা জিতেছে ব্রাজিল। আর গত বছর দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের এই প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার কাছে হেরে রানার্সআপ হয় ব্রাজিল।

কাতার বিশ্বকাপের পরই দায়িত্ব ছাড়বেন তিতে
ছবি : রয়টার্স

দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইপর্বে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থেকে কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছেন নেইমার-কুতিনিওরা। বাছাইপর্বে ১৫ ম্যাচে ব্রাজিলকে এখন পর্যন্ত কেউ হারাতে পারেনি, ১২ জয়ের পাশাপাশি আছে ৩ ড্র।

২০০২ বিশ্বকাপে নিজেদের পাঁচ শিরোপার সর্বশেষটি জেতা ব্রাজিলের কোচ হওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান বলেই মনে করেন তিতে, ‘আমি নিজের কাজে মনোযোগী। আমি জানি ফুটবলে একটা চক্র থাকে, তাই এই পদে (ব্রাজিল কোচ) আসতে পারাটা আমার জন্য অনন্য সুযোগ, যেখানে আরও অনেক উঁচু মানের পেশাদার লোকেরা ভালো কাজ করছেন।’

আসল নাম আদেনর লিওনার্দো বাচ্চি হলেও ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলে তিনি তিতে নামেই পরিচিত। ২০১৬ কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পর দলটির কোচের দায়িত্ব নেন তিতে।

এর আগে ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলে গ্রেমিও, ইন্তারনাসিওনাল, করিন্থিয়ান্সের কোচ হিসেবে সাফল্য পেয়েছেন। আতলেতিকো মিনেইরো ও পালমেইরাসের কোচের দায়িত্বেও ছিলেন তিতে। করিন্থিয়ান্স কোচ হিসেবে ২০১২ সালে ক্লাব বিশ্বকাপ এবং ২০১৫ সালে ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর জাতীয় দলের দায়িত্ব পান তিনি।

ব্রাজিল কোচ হিসেবে কোপা আমেরিকা জিতেছেন তিতে
ছবি: সিবিএফ ফুটবল টুইটার

তবে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের মধ্যে তিতের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। রক্ষণাত্মক কৌশলের কারণে হরহামেশাই তাঁর সমালোচনা করেন সমর্থকেরা। ব্রাজিলের ধ্রুপদি আক্রমণাত্মক ফুটবল থেকে তিনি সরে এসেছেন—এমন সমালোচনা ‘সেলেসাও’ সমর্থকদের কাছ থেকে নিয়মিতই শোনা যায়।