চুল আর ছেলের ফুটবল বিরাগ নিয়ে মেসি

জীবনে কখনো কখনো এমন সময় আসে, যখন স্লেট থেকে মুছে ফেলতে হয় সব। একেবারে শূন্য থেকে নতুন করে শুরু করতে হয়। নতুন এই যাত্রায় নিজেকে নতুন চেহারায় দেখাতেই লিওনেল মেসি ভাবলেন অন্য রকম কিছু করে ফেলা যাক। তাই নিজের চেহারাই বদলে ফেলেছেন।
গত কোপা আমেরিকার ফাইনালের কিছুদিন পর হঠাৎ করে সারা বিশ্ব বিস্ময়ে আবিষ্কার করে—এ যে নতুন মেসি! চুল ধূসর সোনালি। কোপা আমেরিকার আগে দাড়িও রাখতে শুরু করেন। ধারণা করা হচ্ছিল, শিরোপাখরা কাটছে না বলেই হয়তো এই দাড়ি রেখে দেওয়া। একগাল দাড়ি, ধূসর চুল। এই মেসিকে তো চেনাই যায় না!
চেনা মেসির কেন এমন অচেনা বেশ? নানা জল্পনা-কল্পনা ছিল। মেসি নিজে স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি। অবশেষে একটা উত্তর মিলল। আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় কমেডিয়ান মিঙ্গোর ‘পলেমিকা এন এল বা’ টিভি অনুষ্ঠানে গিয়ে মেসি বলেছেন, ‘জীবনের খুবই কঠিন একটা দিনে আমি চুল রং করে ফেলেছিলাম। আসলে আমার সবকিছু একেবারে নতুন করে শুরু করার প্রয়োজন পড়েছিল। আমি তাই নিজেকে বলেছিলাম, ‘একেবারে সবকিছু নতুন করে শুরু করতেই হবে।’
যে হতাশার কারণে এত সব ওলটপালট, সেই ফাইনাল নিয়েও মেসি বলেছেন, ‘আমার কাছে ওই সময় মনে হচ্ছিল সরে যাওয়াই ভালো। সবকিছু ভেঙে পড়ছিল। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা যেভাবে খেলেছি, যেভাবে দল নিজেদের সবটুকু দিয়েছে, এরপরও জিততে না পারার মতো হতাশার আর কিছু হয় না। আমার মনে হয়েছিল, ফাইনালটাই তাই শেষবিন্দু আমার জন্য।’
একটু অন্য রকম সেই সাক্ষাৎকবারে মেসি তাঁর বড় ছেলের ফুটবল-বিরাগ নিয়েও বলেছেন। থিয়াগোর নাকি ফুটবল নিয়ে তেমন একটা আগ্রহই নেই, ‘আমি ওকে খুব বেশি বল কিনে দিইনি, অন্যদের সঙ্গে খেলতেও খুব একটা জোরাজুরি করিনি। আসলে সে ফুটবল অতটা ভালোবাসে না।’
বাপকা বেটা হতেই হবে এ রকম কোনো কথা নেই। মেসির ছেলেও ফুটবলার হবে, সেটাও তো দিব্যি দিয়ে বলা যায় না। সেই সিদ্ধান্ত সে বড় হয়েই নেবে। তবু সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের ছেলের মধ্যে আগামীর তারকাকে খুঁজে দেখেন অনেকেই।
অবশ্য বিখ্যাত বাবার সন্তানেরা খুব কমই বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পেরেছে। পেলের ছেলেও ফুটবলে নাম করতে পারেননি। ডিয়েগো ম্যারাডোনার ছেলেও নয়। তবে আগে কেউ পারেনি বলে অন্য কেউ পারবে না, তা তো নয়।
এখনো সময় আছে। থিয়াগোর আগ্রহ বদলাতেও পারে। তা ছাড়া মেসির তো আরও একটা ছেলে আছে। ছোট ছেলে মাতেও অবশ্য এখনো ঠিকমতো হাঁটাই শেখেনি। ফক্স স্পোর্টস।