চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরার মনোনয়নে নেই মেসি-রোনালদো-নেইমার
একদিক থেকে হিসাব করলে এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল!
পুরস্কারটা শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। গোলকিপার, ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার, ফরোয়ার্ড—প্রতিটি পজিশন ধরে ধরে দেওয়া হবে পুরস্কার। আর গত মৌসুমে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির চ্যাম্পিয়নস লিগ তো কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতোই। শেষ ষোলোতেই শেষ হয়ে গেছে দুজনের চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযান।
সে কারণেই এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘পজিশনভিত্তিক’ সেরার মনোনয়নে সেরা তিনে নেই মেসি ও রোনালদো। সেমিফাইনালে উঠেও নাম লেখাতে পারেননি নেইমার!
উয়েফার নির্ধারিত কোচ ও সাংবাদিকদের ভোটে নির্ধারিত হয় মনোনয়নের তালিকা। আজ শুক্রবার উয়েফা চারটি ভিন্ন পজিশনের প্রতিটিতে তিনজন করে মোট ১২ জন মনোনীত খেলোয়াড়ের তালিকা দিয়েছে। পুরস্কার ঘোষণা করা হবে আগামী ২৬ আগস্ট।
বিচারকদের ভোটে প্রতিটি শ্রেণিতে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া তিনজনকেই বেছে নেওয়া নেওয়া। এই বিচারকেরা কারা? গত মৌসুমে যে ৩২টি ক্লাব চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে খেলেছিল, সেই ৩২ ক্লাবের কোচ এবং উয়েফার সদস্য ৫৫ দেশের প্রতিটি থেকে একজন করে মনোনীত সাংবাদিক। এখানে নিয়ম হলো, কোচেরা নিজেদের দলের কোনো খেলোয়াড়কে ভোট দিতে পারবেন না।
মেসি আর রোনালদোর ফরোয়ার্ড শ্রেণিতেই থাকার কথা ছিল। কিন্তু রোনালদো সেরা দশেও আসতে পারেননি! মেসি ভোটে হয়েছেন চতুর্থ। গত মৌসুমে দুজনেরই চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ হয়েছে শেষ ষোলোতে। মেসির আগের ক্লাব বার্সেলোনা শেষ ষোলোতে হেরেছিল মেসির বর্তমান ক্লাব পিএসজির কাছে, রোনালদোর ক্লাব জুভেন্টাস হেরেছিল তাঁরই দেশ পর্তুগালের ক্লাব পোর্তোর কাছে।
মেসি গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৬ ম্যাচে গোল করেছিলেন ৫টি, রোনালদো ৬ ম্যাচে ৪টি। ওদিকে ৯ ম্যাচে ৬ গোল করেও নেইমারের না থাকাটা বিস্ময় জাগাতে বাধ্য। দলকে সেমিফাইনালে তুলতে সতীর্থদের দিয়ে তিনটি গোলও করিয়েছিলেন নেইমার। তবু ভোটে মেসির চেয়েও পিছিয়ে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসের সেরা দুই গোলদাতা নেই, তো কারা আছেন তালিকায়? শিরোপাজয়ী চেলসির দাপট সবচেয়ে বেশি, মনোনীত ১২ জনের ৫ জনই চেলসির! রানার্সআপ ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড় আছেন ৩ জন। সেমিফাইনালে বিদায় নেওয়া রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজির একজন করে।
ফরোয়ার্ডদের তালিকায় সেরা তিনে আছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের আর্লিং হরলান্ড, বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লেভানডফস্কি এবং পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পে। মিডফিল্ড শ্রেণিতে সেরা তিনে আছেন ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনা, চেলসির জর্জিনিও ও এনগোলো কান্তে।
ডিফেন্ডার শ্রেণিতেও চেলসির দুজনের পাশে ম্যান সিটির একজন—চেলসির আন্তোনিও রুডিগার ও চেজার আসপিলিকেতা, ম্যান সিটির রুবেন দিয়াস। গোলকিপার শ্রেণিতে সেরা তিনে মনোনীত হয়েছেন চেলসির এদুয়ার্দ মেন্দি, ম্যান সিটির এদেরসন, রিয়াল মাদ্রিদের থিবো কোর্তোয়া।
প্রতি শ্রেণিতে পুরস্কারজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে ২৬ আগস্ট ইস্তাম্বুলে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠানে।