ছুটি কাটাতে আসেননি রোনালদো

প্রথম অনুশীলনের দিনছবি : রয়টার্স

বয়স হয়ে গেছে ৩৬। নাম যতই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হোক, বয়স নিয়ে ফিসফাস শোনা যায়ই। ৩৬ বছর বয়স মানে তো ফুটবল ক্যারিয়ারের হিসাবে ‘বুড়ো’ই। ক্যারিয়ারের অস্তাচলে এসে রোনালদো ক্লাব বদলে কতটা কী করতে পারবেন, সে নিয়ে সংশয় আছে অনেকের।

এ বয়সে কত খেলোয়াড়ই তো সহজ লিগে গিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করার দিন গোনেন। খেলার নাম করে আক্ষরিক অর্থে ছুটিই কাটান। কেউ যান যুক্তরাষ্ট্রে, কেউ তুরস্ক বা চীনে। কাতার, লাতিন আমেরিকা বা এশিয়ার ক্লাবেও পাড়ি জমাতে দেখা যায় অনেককে। জাভি-ইনিয়েস্তা থেকে শুরু করে ভিয়া, রুনি, জেরার্ড, বাতিস্তুতা, তেভেজ, রোনালদিনিও, বেকহাম, পেলে, ম্যারাডোনারা তা–ই করেছেন।

কিন্তু নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে রোনালদো নিঃসংশয়। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই বয়সে বিশ্বের অন্যতম সেরা লিগের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তিনি ছুটি কাটাতে আসেননি। আজীবন যে লক্ষ্য নিয়ে ক্যারিয়ারে এগিয়েছেন, এবারের লক্ষ্যও তা–ই। শিরোপা জেতা ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না।

আর শিরোপা জিতলে ইউনাইটেডের জন্যও পোয়াবারো। রোনালদো-ফার্গুসন যাওয়ার পর থেকে ইংলিশ লিগের সেরা ক্লাবগুলোর কাতারে বহুদিন ধরেই যে নেই দলটা!

নতুন ক্লাবের হয়ে অনুশীলনে
ছবি : ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে সাবেক সতীর্থ ওয়েস ব্রাউনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেছেন, ‘আমি এখানে ছুটি কাটাতে আসিনি। আগেও আমি যেটা বলেছি, আগে আমি এই জার্সি পরেছি, অনেক কিছু জিতেছি। গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা জিতেছি ইউনাইটেডের হয়ে। এখনো আমার লক্ষ্য অভিন্ন। আমি এখানে আবার শিরোপা জিততেই এসেছি।’

নিজের ক্ষমতা নিয়েও রোনালদো নিঃসন্দেহ। শুধু এ মৌসুমেই নয়, আগামী তিন থেকে চার মৌসুমেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকার আশা করছেন তিনি, ‘জানি আমি পারব, আমার সতীর্থরাও চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। আমার ও আমার ক্লাবের জন্য এটা অনেক বড় একটা সুযোগ, সামনের দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার। আশা করি, আগামী তিন থেকে চার বছর এখানে আমি খেলতে পারব।’

রোনালদোর কথাগুলো নিউক্যাসল ইউনাইটেডের খেলোয়াড়দের শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দিতে বাধ্য। এ সপ্তাহে এই দলের বিপক্ষেই যে লিগের ম্যাচে মাঠে নামছে ইউনাইটেড! প্রিমিয়ার লিগে এই নিউক্যাসলের বিপক্ষেই আগে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রোনালদো। সব মিলিয়ে এ সপ্তাহে নিউক্যাসলের কী হয়, কে জানে!