জার্সি বিক্রি করেই মেসির টাকা তুলবে সিটি

বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি।ফাইল ছবি

লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণার পর থেকেই বড় প্রশ্ন, যাবেন কোথায়? সেই উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সেই দৌড়ে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটির নামই আসছে সবার আগে। ক্যারিয়ারের স্বর্ণালি সময় যে কোচের অধীনে কাটিয়েছেন, সেই পেপ গার্দিওলা এখন ইংলিশ ক্লাবটির কোচ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম রেডিও কাতালুনিয়ার সাংবাদিক হাভি কাম্পোস এর মধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন সিটিতে যাওয়ার ব্যাপারে পেপ গার্দিওলার সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোনালাপ করে ফেলেছেন মেসি। এরই মধ্যে নাকি মেসির বাবা সিটির সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ইংল্যান্ডে চলেও গেছেন।  

প্রতি বছর যদি তাঁকে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড দিতে হয়, তাহলে জার্সি বিক্রির অর্থ দিয়েই তাঁর পারিশ্রমিক মেটানো সম্ভব।
ড্যানি মিলস, সাবেক সিটি ডিফেন্ডার

তবে ছয়বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীকে দলে টানা তো আর সহজ কোনো বিষয় নয়। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে পেতে ২২ কোটি ইউরো খরচ করতে হতে পারে ম্যানচেস্টার সিটিকে। কোনো সন্দেহ নেই অঙ্কটা বিশাল। তবে এই খরচ ম্যানচেস্টার সিটির জন্য বড় কোনো সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন দলটির সাবেক ডিফেন্ডার ড্যানি মিলস। স্বাভাবিকভাবে আর্জেন্টাইন মেসির ক্লাব বদল মানেই তো হু হু করে সেই দলের জার্সির চাহিদা বেড়ে যাওয়া। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের বেতনের টাকাটা জার্সি বিক্রি থেকে হওয়া আয় থেকেই দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে মিলস।

সাবেক ইংলিশ ডিফেন্ডার মিলস কথাটি শুধু বলার জন্যই বলেননি। তাঁর কথা শুনে বোঝা যাচ্ছে কথাটি হিসেব কষেই বলেছেন মিলস, ‘আমি মনে করি না অর্থ কোনো বড় সমস্যা হবে। আমি দেখেছি, ২০১৬ সালে তাঁর ২০ লাখ জার্সি বিক্রি হয়েছিল। যদি একটি জার্সি থেকে ৪০ পাউন্ডও (প্রায় ৪৫ ইউরো) লাভ করা যায়, তাহলে প্রতি সপ্তাহে ১৫ লাখ পাউন্ড আয় হবে। এভাবে তাঁর পারিশ্রমিক ব্যয় চুকানো যাবে। প্রতি বছর যদি তাঁকে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড দিতে হয়, তাহলে জার্সি বিক্রির অর্থ দিয়েই তাঁর পারিশ্রমিক মেটানো সম্ভব। বরং আগের চেয়ে বিক্রি বেশিও হতে পারে।’

তবে মেসি যে ম্যানচেস্টার সিটিতেই পাড়ি জমাবেন সে নিশ্চয়তা নেই। তাঁকে পাওয়ার দৌড়ে আছে ক্লাবটির নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। এ ছাড়া ফ্রান্সের পিএসজি ও ইতালির ইন্টার মিলান। মেসি শেষ পর্যন্ত কোথায় যাবেন, সেটি জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। তবে মেসি যে দলেই নাম লেখাবেন, সে দলের জার্সি কেনার জন্য বিশ্বের প্রতিটি দেশে যে লাইন পড়ে যাবে এই নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। মেসির বার্সেলোনার জার্সি ব্রিক্রিই তো তাঁর প্রমাণ।