জিদানকে সেদিন কী বলেছিলেন মাতেরাজ্জি?

সেই মুহূর্ত, জিদানের ঢুস খেয়ে উল্টে পড়ছেন মাতেরাজ্জি। ছবি: মার্কা।
সেই মুহূর্ত, জিদানের ঢুস খেয়ে উল্টে পড়ছেন মাতেরাজ্জি। ছবি: মার্কা।

মার্কো মাতেরাজ্জি! নামটি শুনলেই স্মৃতিতে ভেসে ওঠে একটি ছবি—জিদানের ঢুস খেয়ে উল্টে পড়ছেন এক ইতালিয়ান ডিফেন্ডার। ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের আজ দশ বছর পূর্তি। অথচ সবার কথাবার্তায় সেটি বোঝার জো কী আছে? আজ যে সেই ঢুস-কীর্তিরও দশক পূর্তি!

ম্যাচের তখন ১১০ মিনিট। হঠাৎই দেখা গেল মাঠে শুয়ে কাতরাচ্ছেন মাতেরাজ্জি, আর তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে জিনেদিন জিদান। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, মাতেরাজ্জির সঙ্গে কিছুক্ষণ বচসা করে ফিরছিলেন জিদান। হঠাৎ কী শুনে থামলেন। এগিয়ে এসে মাথা নিচু করে দিলেন ঢুস! সহকারী রেফারিদের সঙ্গে কথা বলে রেফারি লাল কার্ড দেখালেন জিদানকে। পেনাল্টি শ্যুট আউটে ৫-৩ গোলে হেরেই গেল ফ্রান্স।
এরপর থেকেই নানা জল্পনা কল্পনা, কী এমন বলেছিলেন মাতেরাজ্জি যে এমন বুনো আচরণ করলেন জিদান! ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টাইমস, দ্য সান ও ডেইলি স্টার লিপ রিডার ব্যবহার করে বের করেছিল, ‘মাতেরাজ্জি নাকি জিদানের মাকে গালি দিয়েছিলেন।’ মাতেরাজ্জি অবশ্য তখনই এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, ‘এটি মিথ্যা, আমার বয়স যখন ১৫, তখন আমার মা মারা গেছেন। আমি কখনো তাঁর মাকে গালি দেব না। আমি তাঁর বোনের ব্যাপারে কথা বলেছি।’
সেদিন নাকি মাতেরাজ্জি জিদানের জার্সি টান দেওয়ায় ফ্রেঞ্চ প্লেমেকার বলেছিলেন, ‘আমার জার্সি দরকার হলে, তোমাকে ম্যাচের পরে দেব।’ তখন মাতেরাজ্জি বলেছিলেন, ‘এর চেয়ে তোমার (জিদানের) বোনকে পেলেই ভালো লাগবে!’ লা ইকুইপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিলেন মাতেরাজ্জি, ‘যেটা বলেছি সেটি বোকার মতো হয়েছিল। কিন্তু তাই বলে এমন প্রতিক্রিয়া দেখানোর মানে হয় না। আপনি নেপলস, মিলান কিংবা প্যারিসের রাস্তায় এর চেয়ে বাজে কথা শুনতে পাবেন।’
ওই ফাইনালে ইতালিকে সমতা ফেরানো গোলটি করেছিলেন কিন্তু মাতেরাজ্জি। কিন্তু ফাইনাল প্রসঙ্গে খুব কম মানুষই সে কথা মনে রাখেন। নিরপেক্ষ সমর্থকদের চোখে যে ২০০৬ ফাইনাল মানেই জিদানকে খেপিয়ে তোলা এক ভিলেনের নাম মাতেরাজ্জি। এটা হয়তো আজীবন একটা দুঃখ হয়েই থাকবে তাঁর!