টাইব্রেকার! টাইব্রেকার!!

টাইব্রেকারে পর্তুগালের প্রথম তিনটি শটই ঠেকিয়ে দিলেন ক্লদিও ব্রাভো। গত পরশু ব্রাভো-বীরত্বেই কনফেডারেশনস কাপের ফাইনালে উঠে গেল চিলি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে টাইব্রেকারে কোনো দলের গোল করতে না পারা অবশ্য এই প্রথম নয়। বিশ্বকাপ ফুটবলেই এমন হয়েছে। টাইব্রেকারে গোলরক্ষকের তিনটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে দেওয়াও দেখেছে বিশ্বকাপ। ফুটবলের পেনাল্টি শ্যুটআউট নিয়েই আজকের আয়োজন....

টানাচার

২০১১ কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে টাইব্রেকারে সবকিছু যেন গুলিয়ে ফেলেছিলেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। প্রথম চার শট থেকে গোল করতে পারেননি এলানো, থিয়াগো সিলভা, আন্দ্রে সান্তোস ও ফ্রেড। তিনটি শট বাইরে মারেন ব্রাজিলিয়ানরা, অন্যটি ঠেকান গোলরক্ষক। প্রথম শটটি মিস করলেও টানা দুটি গোল করে ২-০ গোলে জিতে যায় প্যারাগুয়ে। বিশ্বকাপ, কনফেডারেশনস কাপ বা মহাদেশীয় কোনো টুর্নামেন্টে টাইব্রেকারে টানা চারটি শটে গোল করতে না পারার একমাত্র ঘটনা এটি।

-

২০০৬ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডকে টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যায় নবাগত ইউক্রেন। ইউক্রেনের গোলরক্ষক ওলেকসান্দর শোভকফস্কি দুটি শট ঠেকান, আরেকটি শট লাগে বারে। এর আগে ১৯৮৮ এশিয়ান কাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে টাইব্রেকারে চীনকে ৩-০ গোলে হারায় ইরান।

টাই ব্রেকারের মাঠ

ছেলে ও মেয়েদের বিশ্বকাপের দুটি ফাইনালের ভেন্যু ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পাসাডেনার রোজ বোল। ১৯৯৪ ও ১৯৯৯ সালে দুটি ফাইনালই গড়ায় টাইব্রেকারে। 

ক্লদিও ব্রাভোর আগে বড় টুর্নামেন্টে টাইব্রেকারে তিনটি পেনাল্টি বাঁচিয়েছেন রিকার্ডো (ডানে) ও জিয়ানলুইজি বুফন (বাঁয়ে)। পর্তুগালের গোলরক্ষক রিকার্ডো ২০০৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের চারটি শটের তিনটিই ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। ২০১৩ কনফেডারেশনস কাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে উরুগুয়ের তিনটি শট

বাঁচান ইতালির বুফন।

১২১১!

২০০৬ আফ্রিকান নেশনস কাপের শেষ আটে আইভরিকোস্ট-ক্যামেরুন ম্যাচে ২৪টি পেনাল্টি নিতে হয়েছিল দুদলকে। ২৩টিতেই গোল হয়। ক্যামেরুনের শেষ শটটি মিস করেন দ্বিতীয়বার পেনাল্টি নিতে আসা স্যামুয়েল ইতো। ১২-১১ গোলে জিতে যায় আইভরিকোস্ট। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি শটের টাইব্রেকার এটিই।

বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে আটটি টাইব্রেকারে অংশ নিয়ে সাতটিতেই হেরেছে ইংল্যান্ড। টাইব্রেকারে সবচেয়ে বাজে রেকর্ড ইংল্যান্ডেরই।

৪৮

স্বীকৃত ফুটবল টাইব্রেকারে সর্বোচ্চ ৪৮টি শট নিতে দেখেছে ২০০৫ সালে। নামিবিয়ান কাপে কেকে প্যালেস ১৭-১৬ গোলে হারায় সিভিকসকে।

গ্রন্থনা: মোহাম্মদ সোলায়মান