দাদির জোরাজুরিতে খেলা শুরু হয়েছিল মেসির

চেয়ারে বসে থাকা দাদি সেলিয়ার সঙ্গে খুদে বয়সের মেসি। পাশে তাঁর মা।
ছবি: টুইটার

লা লিগার এই মৌসুমে আজ রাতে শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। শিরোপা দৌড়ে বার্সার জন্য ম্যাচটা গুরুত্ব হারানোয় ছুটি নিয়েছেন লিওনেল মেসি।

অবশ্য বড় ছুটি পাচ্ছেন না। কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ আছে সামনে। এর মধ্যে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘দিয়ারিও ওলে’কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বার্সা তারকা। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, নিজের শৈশবের গল্প—ফুটবলের সঙ্গে তাঁর মিতালি শুরুর দিনগুলোর কথা।

দাদির প্রতি মেসির ভালোবাসাটা সব সময়ই অন্য রকম। ক্লাব ফুটবলে প্রতি গোলের পরই আকাশে তাকিয়ে দুই হাত তুলে দাদিকে স্মরণ করেন মেসি। পেশাদার ফুটবলে করা গোলগুলো নিজের দাদি সেলিয়াকে উৎসর্গ করে থাকেন তিনি।

কারণ, দাদির হাত ধরেই তাঁর ফুটবল মাঠে নামা, মেসি ফুটবলার হবেন—সেই পথটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর দাদি সেলিয়া। সাক্ষাৎকারে সেসব কথাই বলেছেন বার্সা তারকা।

চার-পাঁচ বছর বয়স কিংবা তারও আগে থেকে খেলা শুরু করেন মেসি। দাদির হাত ধরে মাঠে আসার পটভূমিটা বলেছেন তিনি, ‘আমাদের এক কাজিন (ফুটবল) খেলত। ভিন্ন বয়সের হওয়ায় আমরা প্রায় প্রতিদিনই সেখানে যেতাম। একবার ’৮৬ সালে জন্ম নেওয়া কিছু ছেলে খেলছিল। অর্থাৎ আমার চেয়ে এক বছরের বড় আরকি। তাদের একজন খেলোয়াড়ের প্রয়োজন ছিল—আমার দাদি কোচকে বললেন “ওকে নিয়ে নিন।” না, আমি কীভাবে তাকে দলে নেব, সে কত ছোট দেখেছেন! আঘাত পাবে—কোচ বলেছিলেন। কিন্তু দাদি অনড়—অনবরত বলছিলেন “নিয়ে নিন, নিয়ে নিন।”’

গোলের পর এভাবে হাত তুলে প্রয়াত দাদিকে স্মরণ করে থাকেন মেসি। গোলগুলো তিনি এভাবে উৎসর্গ করেন নিজের দাদিকে।
ছবি: টুইটার

শৈশবে মেসি কাজিনদের সঙ্গে খেলা শুরুর সুযোগও পেয়ে গেলেন। এরপর মেসির দাদি কোচকে গিয়ে বললেন, ‘ওকে ফুটবল বুট কিনে দাও। আগামী সপ্তাহ থেকে ওকে অনুশীলনে নিয়ে যাব। এরপরই সব শুরু হলো। সময়টা অসাধারণ ছিল।’

খুব অল্প বয়সে মেসিকে অনুশীলনে নিয়ে যেতেন তাঁর দাদি। বার্সা তারকা ১০ বছর বয়সে থাকতে ভালোবাসার দাদিকে হারান।

মাত্র ৪ বছর বয়সে রোজারিওতে গ্রান্দোল্লি ক্লাবে যোগ দেন মেসি।
ছবি: টুইটার

ফুটবলের সঙ্গে সখ্য ঠিক কবে গড়ে উঠেছিল, তা মেসির ভালোভাবে মনে নেই। সাক্ষাৎকারে শুধু এতটুকু বললেন, ‘এমনকি ৪-৫ বছর বয়সের আগেও আমি বল নিয়ে খেলতাম। ঠিক যখন থেকে হাঁটতে শিখেছি। মনে আছে প্রথম ম্যাচটা ছিল গ্রান্দোল্লিতে (রোজারিও)। আমার চেয়ে বয়সে বড় কাজিনরা ছিল। সবাই একত্র হলেই খেলতে নামতাম। প্রথম কবে বল নিয়ে খেলেছি, তা মনে পড়ছে না। তবে এটা ঠিক খুব অল্প বয়স থেকেই খেলা শুরু করি। ৪ বছর বয়সে খেলা শুরু করেছি ক্লাবে, রাস্তায়—সব সময় শুধু খেলেছি।’