দুই বছর পরপর বিশ্বকাপে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার ‘না’

আর্জেন্টিনা তারকা লিওনেল মেসি ও ব্রাজিল তারকা নেইমারফাইল ছবি: এএফপি

বিশ্বজুড়ে ফুটবল আরও জনপ্রিয় করতে, সবার অংশ নেওয়ার সুযোগ বাড়াতে দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ভাবছে ফিফা। অনেকেই এই ভাবনার সঙ্গে একমত না।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের প্রধান সংস্থা উয়েফাও এই ভাবনায় ভেটো দিয়েছে। ফিফা থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে ইউরোপের অনেক দল।

এবার আওয়াজ উঠল দক্ষিণ আমেরিকা থেকেও। এই মহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা জানিয়েছে, দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজন করা হলে তারা অংশ নেবে না।

দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজন করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবার দায়িত্বটা আর্সেন ওয়েঙ্গারের কাঁধে চাপিয়েছে ফিফা। আর্সেনালের সাবেক এই কোচ এখন ফিফার ফুটবল উন্নয়নের প্রধান। চার বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজন থেকে সরে এসে ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে চায় ফিফা।

এ নিয়ে চারপাশে জল্পনাকল্পনার মধ্যে কাল গুরুত্বপূর্ণ এক অধিবেশনে বসেছিল দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের প্রধান সংস্থা কনমেবল। মুখোমুখি সে বৈঠকে এ মহাদেশের ১০টি দল জানিয়েছে, দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনে তাদের সম্মতি নেই। এমন কোনো সিদ্ধান্তে তারা রাজি হবে না।

কনমেবলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিফা যে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে যুক্তি কিংবা সুফল কোনোটাই নেই। তাই কনমেবলের অন্তর্ভুক্ত ১০টি দেশ জানিয়েছে, দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজিত হলে তারা অংশ নেবে না। প্রশ্নবিদ্ধ এ পরিকল্পনা ফুটবলে শত বছর ধরে চলে আসা প্রথার বিরোধী, এই গ্রহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলাটার ইভেন্টের সমৃদ্ধ ইতিহাসকে এতে অবমাননা করা হয়।’

আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, কলম্বিয়া, চিলি, ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা, পেরু ও বলিভিয়া—এই ১০টি দেশ কনমেবলের সদস্য। এ পর্যন্ত মোট ৯টি বিশ্বকাপ গেছে মহাদেশের দলগুলোর কাছে—অবশ্য তা জিতেছে তিনটি দলই। এর মধ্যে পাঁচটি বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলের দখলেই বিশ্বকাপ সবচেয়ে বেশিবার জেতার রেকর্ড। আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে জিতেছে দুবার করে।

১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর পর থেকে চার বছর পরপর এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে দুই-একবার এই ধারায় ছেদ পড়লেও ফুটবল বিশ্বকাপ চার বছর পরপর মাঠে গড়ানোর প্রথাটা স্বীকৃত। কনমেবল চলমান এই প্রথার পক্ষে থেকে জানিয়েছে, ‘এখন বিশ্বকাপ যেভাবে আয়োজন করা হচ্ছে কনমেবল তার পক্ষে। কারণ খেলাধুলায় উৎকর্ষের দিক থেকে এই মডেলটা সফল।’