নামটা রোনালদো হলেও তাঁকে মাস্ক পরতেই হবে

মাস্ক না পরে বিব্রত রোনালদোছবি: রয়টার্স

খেলতে পারবেন না—এমন সন্দেহ জেগেছিল আগেই। ডান পায়ের আঙুলে সংক্রমণ। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে তাই কাল উয়েফা নেশনস কাপে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে মাঠে নামাননি পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। এস্তাদিও দ্রাগাও স্টেডিয়ামে তবু ছিলেন রোনালদো। গ্যালারিতে বসে দেখেছেন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পর্তুগালের ৪-১ গোলের জয়।

রোনালদো গ্যালারিতে বসে থাকতে ঘটনাটা ধরা পড়ল ক্যামেরায়। আশপাশে তাঁর সতীর্থ থেকে স্টাফ—সবাই মুখে মাস্ক পরা। করোনাভাইরাস প্রকোপের এ সময়ে মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তাতে নিজে নিরাপদ থাকার পাশাপাশি অন্যদেরও নিরাপদে রাখায় যায়। কিন্তু এ কী! রোনালদোর মুখে মাস্ক নেই। হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন কিংবা পরেননি—সে যে কারণেই হোক অফিশিয়ালরা কিন্তু তাঁকে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

ক্যামেরায় দেখা যায় ৩৫ বছর বয়সী জুভেন্টাস তারকার কাছে যান এক অফিশিয়াল। নিচু স্বরে তাঁকে কিছু একটা বলেন। এরপর পাশ থেকে মাস্ক নিয়ে মুখে পরেন রোনালদো। মঙ্গলবার সুইডেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে পর্তুগাল। এ ম্যাচেও রোনালদোর মাঠে নামার নিশ্চয়তা দিতে পারেননি সান্তোস। পর্তুগাল কোচ এর আগেই বলে রেখেছেন, ‘তাকে তো বিশ্রাম দেইনি। ফিট থাকলে খেলবে। সুইডেনে সে যাবে, এরপর দেখা যাক কী ঘটে। কোনো চোট নেই তবে সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে হবে তাকে।’

ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সংগীত হচ্ছে। সবার মুখেই মাস্ক কেবল রোনালদো ছাড়া।
ছবি: রয়টার্স

সংবাদমাধ্যম ‘ফুটবল ইতালিয়া’ জানিয়েছে, রোনালদোর পায়ে মৌমাছি হুল ফুটিয়েছে। সংক্রমণটা তারই পরিণতি। সান্তোস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংবাদমাধ্যমকে, ‘সে শতভাগ ফিট কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। অনুশীলন করছিল কিন্তু বুধবার হঠাৎ করেই তার পায়ের একটা আঙুল লাল হয়ে গেল, মৌমাছি হুল ফুটিয়েছে। এখন অপেক্ষা করতে হবে। সংক্রমণ শুরু হওয়ায় কবে সুস্থ হয়ে উঠবে তা ঠিক করে বলা যাচ্ছে না।

পর্তুগালের হয়ে গত বছরের নভেম্বরে মাঠে নেমে গোল করেছিলেন রোনালদো। নেশনস কাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার প্রহর গুনছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অপেক্ষায় আছেন মাইলফলক ছোঁয়ার। জাতীয় দলের হয়ে শত গোলের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে রোনালদো। ১৬৪ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ৯৯। জাতীয় দলের হয়ে ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে শত গোল করার মাইলফলক ছোঁয়ার লক্ষ্য জুভেন্টাস তারকার সামনে। এর আগে মাইলফলকটি গড়েছেন ইরানের সাবেক স্ট্রাইকার আলী দাইয়ি। ১৪৯ ম্যাচে ১০৯ গোল করেছেন তিনি।