পেনাল্টি না পাওয়ায় রাগে ফুঁসছেন ভিয়ারিয়াল সভাপতি

হারের পর ভিয়ারিয়ালের খেলোয়াড়েরাছবি: রয়টার্স

লা সেরামিকায় শেষ বাঁশির পর ভিয়ারিয়ালের সমর্থক ও খেলোয়াড়দের প্রতি করতালি দেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট টেবিলে ১৬তম বার্নলির চেয়েও কম বাজেটের একটা দল, তাঁরাই কী না কাঁপিয়ে দিয়েছিল লিভারপুলকে!

অবশ্য কাল রাতে ফিরতি লেগে ৩-২ গোলের হারে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ার পর ভিয়ারিয়ালের খেলোয়াড়দের মাথা উঁচু রাখতে বলছেন অনেকেই। তা হয়তো থাকবেও, কিন্তু ক্লাবটির সভাপতি ফার্নান্দো রোইগ রাগে ফুঁসছেন। তাঁর সমস্ত ক্ষোভ রেফারির প্রতি।

ম্যাচের ফল আগে বলে রাখা ভালো। ঘরের মাঠে প্রথম লেগ ২-০ গোলে জিতেছিল লিভারপুল। তারপর ভিয়ারিয়াল ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। বিরতির পর তিন গোল করে প্রত্যাবর্তনের আরও নির্মম গল্প লেখার পাশাপাশি ফাইনালের দেখাও পেয়ে যায় লিভারপুল।

এমন হারে স্বাভাবিকভাবেই কষ্ট লাগার কথা ভিয়ারিয়ালের খেলোয়াড় থেকে সমর্থকদের। তবে ম্যাচের একটি মুহূর্তে রেফারির নেওয়া এক সিদ্ধান্তের জন্য ভিয়ারিয়াল সভাপতি মনে করেন, এমন ম্যাচ পরিচালনার কোনো যোগ্যতাই নেই রেফারির।

ডাচ রেফারি ড্যানি ম্যাককেলি
ছবি: রয়টার্স

ডাচ রেফারি ড্যানি ম্যাককেলি এই ম্যাচটা পরিচালনা করেন। ফুটবল মাঠে বাঁশি বাজানোর পাশাপাশি তিনি পেশায় রটাডারম শহরের পুলিশ কর্মকর্তা। ইউরো সেমিফাইনাল থেকে ইউরোপা লিগ ফাইনাল এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পরিচালনা করা ম্যাককেলি ২০১১ সাল থেকে ফিফার তালিকাভুক্ত। তাঁর ওপর বেজায় চটেছেন রোইগ।

কারণ? প্রথমার্ধের শেষ দিকে জেরার্দ মোরেনোর পাস থেকে লিভারপুল গোলকিপার আলিসনকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন ভিয়ারিয়াল মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসো। আলিসন স্লাইড করে লো সেলসোকে প্রতিহত করে বিপদমুক্ত করেন লিভারপুলকে।

রেফারি ম্যাককেলির চোখে আলিসনের এই ডিফেন্ডিং বৈধ ছিল। কিন্তু ভিয়ারিয়াল সভাপতি রোইগের দাবি, ওটা পেনাল্টি ছিল কিংবা ন্যূনতম ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) প্রযুক্তির সাহায্যও নিতে পারেননি রেফারি। তা না করে খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমকে ভিয়ারিয়াল সভাপতি বলেছেন, ‘এটা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। এমন ম্যাচ পরিচালনার যোগ্যতাই নেই রেফারির। এর চেয়ে ভালোভাবে আর বলতে পারছি না। রেফারিং খুব বাজে হয়েছে। সবকিছু ওদের (লিভারপুল) পক্ষে গেছে। কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। লিভারপুল অসাধারণ দল। তবে এই ম্যাচের ফলে রেফারিংয়ের মান প্রভাব ফেলেছে।’

ভিয়ারিয়াল সভাপতি ফার্নান্দো রোইগ
ছবি: টুইটার

ভিয়ারিয়াল সভাপতি হয়তো অনুচ্চারে বোঝাতে চেয়েছিলেন তখন পেনাল্টি পেলে একটি গোলও সম্ভবত পেতেন। তাতে ভিয়ারিয়ালের ফাইনালে ওঠার আশাও টিকে থাকত। যদিও আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লো সেলসো নিজে এ নিয়ে কিছুই বলেননি। দল সেমিফাইনালে ওঠাতেই খুশি সেলসো, ‘খারাপ তো লাগছেই, কারণ আমরা ফাইনাল খেলতে চেয়েছিলাম। ভক্তদের সমর্থনের জন্যই এতদূর আসতে পেরেছি। তবে সতীর্থদের নিয়ে আমি গর্বিত। সেমিফাইনালে উঠে আসা মোটেও ছোটখাটো কোনো বিষয় না।’