বাংলাদেশে বার্সার ফুটবল স্কুল!

পাশের দেশ ভারতে দারুণ একটি ফুটবল স্কুল গড়ে তুলেছেন বাইচুং ভুটিয়া। দেশের ১০টি শহরে ৩৪টি ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে ভারতের সাবেক এই ফুটবলারের। বিবিফুটবলসস্কুলসডটকম ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারলেই দেখা যাবে এই একাডেমির কিশোর ফুটবলাররা ‘সামার ট্যুরে’ যাচ্ছে আগামী জুনে। ২৪ জুন থেকে ১ জুলাই বার্সেলোনা সামার কাপে খেলতে যাবে এই একাডেমির ফুটবলাররা। এমন সুযোগ বাংলাদেশের কিশোর ফুটবলারদের জন্য দিবাস্বপ্নই বলা যায়। তবে বার্সেলোনা গিয়ে খেলার সুযোগ হয়তো পেতেও পারে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। এফসি বার্সেলোনার একটি ফুটবল স্কুল আসছে বাংলাদেশে।
সবকিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশে স্বল্প পরিসরে বার্সেলোনার একাডেমিতে গড়ে তোলা হবে ভালো মানের ফুটবলার। এমন একটা প্রস্তাব পেয়েছেন দেশের একমাত্র উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ মারুফুল হক। তবে স্প্যানিশ ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে তাঁর বড় প্রয়োজন আর্থিক ও অবকাঠামোগত নিশ্চয়তা।
স্পেনের লা মাসিয়া একাডেমি থেকে উঠে এসেছেন লিওনেল মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জাভি হার্নান্দেজের মতো তারকা ফুটবলাররা। বছরের পর বছর এই একাডেমির মাধ্যমে বিশ্বসেরা সব ফুটবলার উপহার দিচ্ছে বার্সেলোনা। তবে শুধু আবাসিক নয়, ভবিষ্যতের ফুটবলার গড়তে অনাবাসিক একাডেমির ব্যবস্থাও রয়েছে ক্লাবটির। যেটিকে বলা হচ্ছে এফসিবিস্কোলা (এফসি বার্সেলোনা স্কুল অব সকার)। যেখানে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ট্রেনিং কর্মসূচিতে ফুটবলের পাঠ নিতে পারবে শিশু-কিশোরেরা। সারা বিশ্বে বার্সেলোনার এমন ৩৩টি স্কুল আছে। আর সেই স্কুল বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বার্সেলোনার সঙ্গে আলোচনা চলছে মারুফুল হকের।
যদিও চূড়ান্ত কিছু হয়নি, তারপরও মারুফুল হক আশাবাদী অচিরেই বাংলাদেশে হতে পারে এই স্কুল, ‘বার্সেলোনার এফসিবি স্কোলার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওরা বেশ আগ্রহ দেখিয়েছে এবং ওরা কিছু কাগজপত্র প্রস্তুত করতে বলেছে। এগুলো ওরা পাঠাতে বলেছে স্পেনে।’
বার্সেলোনার এই স্কুলের জন্য খুব বড় অবকাঠামোর প্রয়োজন নেই আপাতত। প্রতি ১২ জন ফুটবলারের জন্য বার্সেলোনা থেকে আসবেন একজন করে কোচ।
কিন্তু চাইলেই বাংলাদেশে কি এমন একটা একাডেমি করা সম্ভব? মারুফের উত্তর, ‘আমাদের দেশে ফুটবলে যাঁরা বিনিয়োগ করেন বা যেসব পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা কিন্তু হাতেনাতে ফল পেতে চায়। যেদিন থেকে শুরু করবেন এর পরের মাস থেকেই তাঁরা এ থেকে কিছু ফেরত পেতে চাইবেন। পাশাপাশি এই স্কুল থেকে কিছু ভালো মানের ফুটবলারও বের হয়ে আসবে।’
ইদানীং ফুটবলের দলবদলে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা গুনছে ক্লাবগুলো। দেশের পড়তি ফুটবলেও পৃষ্ঠপোষকতা করার লোকের অভাব নেই। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বার্সেলোনার এই একাডেমি গড়তে পারলে দিনশেষে তো দেশের ফুটবলেরই লাভ।