বার্সার কোচ হতে তর সইছে না জাভির

জাভিফাইল ছবি

গত কয়েক দিনে কানাঘুষাটা একটু হলেও কমেছে। ভ্যালেন্সিয়া আর দিনামো কিয়েভের বিপক্ষে পাওয়া দুটি জয় একটু হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে বার্সেলোনার কোচ রোনাল্ড কোমানকে। না হয় তাঁর চাকরি থাকবে কি না সেটা নিয়ে কয়েক দিন আগেও যে পরিমাণ আলোচনা হচ্ছিল, তা এই ডাচ কোচের জন্য মোটেও স্বস্তিকর কিছু ছিল না।

তবে আগামীকাল মহাগুরুত্বপূর্ণ এল ক্লাসিকো। বার্সেলোনা মাঠে নামবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। আর সে ম্যাচে বার্সেলোনা যদি হেরে যায়, তাহলে আবারও যে কোমানের চাকরি নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যাবে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর সেটা যদি হয়, উপজাত হিসেবে আলোচনার টেবিলে যুক্ত হবে বার্সেলোনার পরবর্তী কোচ কে হবেন সেটা নিয়ে আলোচনা।

বিপাকে আছেন কোমান
ফাইল ছবি

জাভি হার্নান্দেজ বেশ ভালো জানেন সেটা। আর জানেন বলেই বার্সেলোনার কোচ হওয়ার জন্য আগে থেকেই হাঁকডাক শুরু করে দিয়েছেন ক্লাবের সাবেক এই কিংবদন্তি খেলোয়াড়। হ্যাঁ, সেই জাভি; আর্নেস্তো ভালভার্দে ও কিকে সেতিয়েন চলে যাওয়ার পর বার্সেলোনা যাকে কোচ হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। কাতারি ক্লাব আল সাদের দায়িত্বে থাকা জাভি তখন প্রিয় ক্লাবের কোচ হতে রাজি না হলেও এখন বার্সেলোনার কোচ হতে কোনোই সমস্যা নেই বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী এই তারকার!

আল–সাদের কোচ জাভি হার্নান্দেজ
ছবি: টুইটার

কিন্তু বার্সেলোনার কোচ হওয়ার যদি তাঁর এতই ইচ্ছে থাকে, তাহলে গত দুবার কাতালানদের কোচ হওয়ার জন্য রাজি হননি কেন জাভি? সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন জাভি, ‘তখন যখন ওরা আমাকে বার্সেলোনার কোচ হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে এল, তখন আমি আল সাদের কোচ হিসেবে মাত্র তিন মাস দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু এখন ব্যাপারটা ভিন্ন। আমার অভিজ্ঞতা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি, আমি অনেক কিছু শিখছি এখানে।’

বার্সা ছাড়ার পর এই আল সাদেই খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন জাভি। খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেওয়ার পর একই ক্লাবের শুরু করেছেন কোচিং ক্যারিয়ার। আমির কাপের ফাইনালে কাল আল রাইয়ানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল জাভির আল সাদ।

মেসিকে ছাড়া বার্সেলোনা এখন প্রতিপক্ষের মনে ভয় জাগাচ্ছে না
ফাইল ছবি: রয়টার্স

সে ম্যাচের আগে স্প্যানিশ অনুষ্ঠান ‘২০ মিনুতোস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন জাভি, ‘আমার বিশ্বাস, বিশ্বের যেকোনো ক্লাবের কোচিং করাতে পারব এখন। আমার লক্ষ্য বার্সেলোনার কোচ হওয়া। আমি আমার এই ইচ্ছের কথা কখনো লুকাইনি। এটাই আমার স্বপ্ন। তবে আমি জানি না ওরা এখনো আমাকে চায় কি না। আমি জানি না আমার এই স্বপ্ন পূরণ হবে কি না। বার্সা ও স্পেনের খেলোয়াড় হিসেবে আমি সব সময় চেয়েছি অন্যান্য খেলোয়াড়েরা যেন উন্নতি করতে পারে। কোচ হিসেবেও আমি একই কাজ করতে চাই।’

সাক্ষাৎকার দিয়েই আল সাদকে আমির কাপ খেলাতে নিয়ে গিয়েছিলেন জাভি। আল রাইয়ানকে পেনাল্টি শুটআউটে হারিয়ে দুই বছরে এই নিয়ে সাতটা শিরোপা জিতে নিয়েছেন জাভি। বার্সেলোনা কি চোখ রাখছে জাভির সাফল্যের দিকে?