ভাগ্যে পাওয়া জয়ে বার্সা–অধ্যায় শুরু জাভির

গোলের পর মেম্ফিসের উল্লাসছবি : রয়টার্স

নাহ্‌, বার্সেলোনার ভক্তরা যেমনটা আশা করেছিলেন, তেমন ভালো ফুটবল খেলতে পারেননি ডিপাই-বুসকেতসরা। জাভির অধীন প্রথম ম্যাচেই দেখা যায়নি চোখধাঁধানো টিকিটাকার ঝলক বা প্রেসিং ফুটবলের চমক। এতে অবশ্য সমস্যা হয়নি। কোচ জাভির প্রথম ম্যাচে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।

নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসপানিওলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচের একমাত্র গোলটা এসেছে ডাচ্‌ স্ট্রাইকার মেম্ফিস ডিপাইয়ের নেওয়া পেনাল্টি থেকে।

প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছেন জাভি
ছবি : রয়টার্স

ম্যাচের আগেই জাভি ঘোষণা দিয়েছিলেন, একাদশে চমক থাকবে। সে চমক থাকলও। আক্রমণভাগে মেম্ফিস আর গাভির পাশে মূল একাদশে জাভি নামিয়ে দিলেন ১৭ বছর বয়সী আনকোরা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইলিয়াস আখোমাশ চাকুরকে। পেদ্রির চোটের সুবাদে মাঝমাঠে বুসকেতস আর ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের সঙ্গী ছিলেন নিকো গঞ্জালেস, ফিলিপ কুতিনিওকে একাদশে রাখেননি জাভি। ওদিকে রক্ষণে অভিজ্ঞ জেরার্ড পিকের সঙ্গী ছিলেন এরিক গার্সিয়া, দুই ফুলব্যাক হিসেবে ছিলেন অস্কার মিঙ্গেসা ও জর্দি আলবা।


ম্যাচের তিন মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে করা ডিপাইয়ের ভলি আটকে দেন এসপানিওলের গোলকিপার দিয়েগো লোপেজ। ১৩ মিনিটেই নিজের অভিষেক ম্যাচ রাঙানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ইলিয়াস। গাভির পাসটা ঠিকঠাক পায়ে লাগাতে পারলেই গোল পেয়ে যেতেন এই তরুণ, কিন্তু সে শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

এই ফাউল নিয়েই এত বিতর্ক
ছবি : রয়টার্স

৩০ মিনিটে নিকো গঞ্জালেসের সহায়তায় বুসকেতসের গোলমুখী শট দুর্দান্তভাবে আটকে দেন লোপেজ। ৩৩ মিনিটে গাভির দূরপাল্লার শট হয়েছে লক্ষ্যভ্রষ্ট। গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।


দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। বক্সের মধ্যে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে যাওয়া মেম্ফিসের পা থেকে বল কেড়ে নেওয়ার জন্য স্লাইডিং ট্যাকল করেন এসপানিওলের উরুগুইয়ান ডিফেন্ডার লিয়ান্দ্রো কাবরেরা। আপাতদৃষ্টিতে কাবরেরা বলের নাগাল ঠিকঠাক পেয়েছেন বলে মনে হলেও কাবরেরার ট্যাকল আর এগিয়ে আসা গোলকিপার লোপেজের কারণে পড়ে যান মেম্ফিস।

পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কাবরেরা যেহেতু বলের নাগাল পেয়েছিলেন, সেহেতু এই পেনাল্টি নিয়ে ম্যাচের পর থেকেই তুমুল বিতর্ক চলছে। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মেম্ফিস। তেমন কিছু করতে পারছিলেন না, তাই তরুণ ইলিয়াসের জায়গায় আরেক তরুণ উইঙ্গার আবদে এজালজুয়িকে এর মধ্যেই মাঠে নামিয়ে ফেলেছিলেন জাভি।


গোল করার সুযোগ পেয়েছিল এসপানিওলও। তাঁদের দুটি শট পোস্টে লাগে। ভাগ্যের এই ছোঁয়াটা না পেলে হয়তো বার্সার কোচ হিসেবে প্রথম ম্যাচে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হতো জাভিকে!


এমনিতেই পেদ্রি, দেস্ত, ফাতি, রবের্তোর মতো খেলোয়াড়েরা চোটের কারণে খেলতে পারছেন না, এই ম্যাচের পর চোটের চিন্তা আরও বাড়বে জাভির। নিকো গঞ্জালেস, বুসকেতস ও মিঙ্গেসার প্রত্যেকে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তাঁদের জায়গায় ম্যাচের শেষ দিকে নামানো হয়েছিল ইউসুফ দেমির, রিকি পুচ ও রোনালদ আরাউহোকে। শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে দল, এই নিয়েই হয়তো সন্তুষ্ট থাকবেন জাভি!