‘ভিএআর থাকলে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতত না বার্সেলোনা’

২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি নিয়ে সুয়ারেজ, মেসি ও নেইমারের উচ্ছ্বাসফাইল ছবি

ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি), ফুটবলে এ প্রযুক্তির ব্যবহার ফুটবলপ্রেমীরা প্রথমে সাদরে গ্রহণ করেনি। খেলা গতি হারাবে—এমনটাই বলে আসছিল অনেকে। কিন্তু এখন সাত বছর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে ভিএআর না থাকার আফসোস করছেন জুভেন্টাসের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতা।

সাত বছর আগে, মানে ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে ভিএআর থাকলে কী হতো? মোরাতার কথা, জুভেন্টাসই তাহলে সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিততে পারত। মোরাতার এ কথার মানে দাঁড়ায় একটাই, ভিএআর থাকলে সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হতো না বার্সেলোনার। বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল স্পেনের ক্লাব বার্সা।

জুভেন্আটাসের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতা
ফাইল ছবি

সেই ম্যাচে ইভান রাকিতিচের ৪ মিনিটের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। তবে মোরাতার ৫৫ মিনিটের গোলে সমতা ফেরায় জুভেন্টাস। লুইস সুয়ারেজ ৬৮ মিনিটে আবার এগিয়ে দেন বার্সাকে। এরপর যোগ করা সময়ের ৭ মিনিটে গোল করে বার্সাকে ৩-১ গোলে জেতান নেইমার। সেই ম্যাচ নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মোরাতা বলেছেন, ‘ভিএআর থাকলে হয়তো বার্সার বিপক্ষে ফাইনাল জিতত জুভ।’

সেই ম্যাচে জুভেন্টাসের একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন রেফারি। ম্যাচের তখন ৬৭ মিনিট, বার্সেলোনার পেনাল্টি বক্সে বিপজ্জনকভাবে বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন সেই সময়ে জুভেন্টাসে খেলা পল পগবা। বার্সার ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজ তাঁকে ফেলে দেন। জুভেন্টাসের খেলোয়াড়েরা পেনাল্টির আবেদন করেন সঙ্গে সঙ্গেই। কিন্তু রেফারি সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে বলেন।

বার্সেলোনা পাল্টা আক্রমণ করে পরক্ষণেই। সেই পাল্টা আক্রমণ থেকে গোলও পেয়ে যায় তারা। সাত বছর পেরিয়ে গেলেও সেই আক্ষেপ এখনো করে যাচ্ছেন মোরাতা, ‘আমার সব সময়ই মনে হয়, ভিএআর থাকলে হয়তো আমরা পেনাল্টি পেতাম। জুভেন্টাসও তাহলে আরেকটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতত। কিন্তু জীবন তো এমনই।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে ভিএআর প্রযুক্তি যোগ হয়েছে ২০১৯-২০ মৌসুম থেকে।