ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর জন্য আতঙ্ক তিনি। তাঁর ক্লায়েন্টকে দলে টানা মানেই নানা যন্ত্রণা সহ্য করা। কেন? কারণ, যে ফুটবলারের দায়িত্ব নেন, তাঁর আর্থিক দিকটার যেন একবিন্দু ক্ষতি না হয়, সেটা নিশ্চিত করায় মিনো রাইওলার ধারেকাছে নেই কেউ।
একটু আগেই ‘ছিলেন’ লিখতে হয়েছিল। কারণ, খবর ছড়িয়ে পড়েছিল ইতালিয়ান সুপার এজেন্ট নাকি আজ মৃত্যুবরণ করেছেন। ৫৪ বছর বয়সী এই রাইওলা কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন। হাসপাতালে ছিলেন এক মাসের বেশি। তাই এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় কেউ অবিশ্বাস করেননি।
সে খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ার পর একটু ধাতস্থ হওয়ার আগেই চমক। মিনো রাইওলা স্বয়ং টুইট করেছেন, বলেছেন ‘এখনো মরিনি’!
ভয়ংকর এক ব্যস্ত গ্রীষ্ম কাটানোর কথা তাঁর। একসময় রাইওলার সঙ্গে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল জর্জে মেন্দেসের। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এজেন্ট ইদানীং কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন। ওদিকে ইব্রাহিমোভিচ ও পল পগবার এজেন্ট গত কয়েক বছরে নিজের ক্লায়েন্টের তালিকা ভারী করেছেন। আরলিং হরলান্ড, মাতিয়াস ডি লিখটদের মতো প্রজন্মের অন্যতম সেরা তরুণদের এজেন্ট রাইওলা। আগামী গ্রীষ্মে নতুন ক্লাবে যোগ দেবেন পগবা। হরলান্ড ও ডি লিখটেরও এই মৌসুমেই নতুন ক্লাব খোঁজার কথা। এ নিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন গুঞ্জন উঠছে।
গত জানুয়ারিতে প্রথম রাইওলার অসুস্থতার খবর আসে। মিলানের এক হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে, জটিল এক অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর কী হয়েছে, সে খবর কখনো দেওয়া হয়নি। তখন বলা হয়েছিল, প্রাণঘাতী কিছু নয় এবং ঘরেই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলবে তাঁর।
এর মধ্যেই আজ হঠাৎ রাইওলার মৃত্যুর খবর এসেছে। ইউরোপের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম সে খবরও দিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই অন্য খবর আসতে শুরু করে। রাইওলার ডান হাত বলে পরিচিত হোসে ফোর্তেস রদ্রিগেজ ডাচ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তাঁর অবস্থা খুব খারাপ, কিন্তু এখনো মারা যাননি।’ একটু পর সান রাফেলে হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসকের বরাতে বলা হয়েছে, ‘এখনো লড়ে যাচ্ছেন তিনি। যারা মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছে, তাদের ওপর খেপেছি আমি।’
এরপর মিনো রাইওলার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই পোস্ট করা হয়েছে, ‘যাঁরা আমার বর্তমান স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে চাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলছি: চার মাসে দ্বিতীয়বারের মতো মেরে ফেলায় চরম বিরক্ত। মনে হচ্ছে, (আমার) পুনরুজ্জীবিত হওয়ার ক্ষমতা আছে।’
ইব্রাহিমোভিচ, পগবা, হরলান্ড, ডি লিখট ছাড়াও রোমেলু লুকাকু, মারিও বালোতেল্লি, মার্কো ভেরাত্তি ও হেনরিখ মেখিতারিয়ানও এজেন্ট হিসেবে রাইওলার ওপর আস্থা রাখেন। ফোর্বস জানিয়েছিল, তারকাদের এজেন্ট হিসেবে গত বছর ৬ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড আয় করেছিলেন।