মেসির কোপা–সাফল্য উৎসর্গপত্রে থাকলেন ম্যারাডোনাও
বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নবায়নের ভবিষ্যৎ যা–ই হোক, আপাতত লিওনেল মেসির বৃহস্পতি তুঙ্গে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মাটিতে তাদেরকেই হারিয়ে দেশের হয়ে জিতেছেন প্রথম শিরোপা। স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা এখন তিন সপ্তাহের ছুটি কাটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার আগে জয়ের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। সেখানে মেসির কথায় উঠে এসেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনাও।
মারাকানায় কাল কোপা আমেরিকা ফাইনালে ব্রাজিলকে ১–০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ ২৮ বছর পর আন্তর্জাতিক ময়দানে শিরোপার দেখা পেল তারা। মেসিদের উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া ছিল স্বাভাবিক। মেসির জন্য তো বটেই। ক্লাব ক্যারিয়ারে তাঁর কোনো কিছুই জেতা বাকি নেই। বাকি ছিল শুধু দেশের হয়ে কিছু একটা শিরোপার গৌরব—৩৪ বছর বয়সে এসে সে সাফল্যের দেখা পাওয়ার পর মারাকানাতে মেসির উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো।
মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ের অনুভূতিটা ইনস্টাগ্রামেও জানিয়েছেন মেসি, ‘এই সাফল্য আমি পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই। তারা সব সময় আমাকে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে। বন্ধুদেরও উৎসর্গ করছি, যাদের আমি ভালোবাসি এবং সমর্থন দেওয়া সবাইকে বিশেষ করে ৪৫ মিলিয়ন আর্জেন্টাইন—মহামারিতে যাঁরা খুব বাজে সময় পার করছেন। এই সাফল্য আপনাদের সবার।’ এরপরই প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনার প্রসঙ্গ টেনে মেসি লিখেছেন, ‘...আর অবশ্যই ডিয়েগোকে, সে যেখানেই থাকুক না কেন, নিশ্চিতভাবেই আস্থা রেখেছে, সমর্থন দিয়েছে।’
উচ্ছ্বাসটুকু প্রকাশ করে বাস্তবতায় পা রেখেছেন মেসি। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এই সাফল্যের সুখকে শক্তিতে পরিণত করতে চান তিনি, ‘উৎসব উদ্যাপনের মধ্যেই নিজেদের খেয়াল রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না সবকিছু স্বাভাবিক হতে এখনো সময় লাগবে। এই আনন্দকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে আমাদের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’ এরপর মেসি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করেছেন তাঁর বক্তব্য, ‘যা যা অর্জন করতে পেরেছি, সবকিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধনব্যাদ।
আমাকে আর্জেন্টাইন বানানোর জন্য ধন্যবাদ। দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন!’
মেসি তাঁর এই পোস্টের শুরুটা করেছিলেন দলীয় সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়ে, ‘অবিশ্বাস্য এক টুর্নামেন্ট। আমরা জানি, আরও অনেক জায়গায় উন্নতি করতে হবে। কিন্তু সত্যটা হলো ছেলেরা হৃদয় নিংড়ে খেলেছে এবং এই দলের অধিনায়কত্ব করতে পেরে আমি ভাগ্যবান, এর চেয়ে বেশি গর্বিত হতে পারতাম না।’