মেসি যে কারণে দাড়ি রাখা শুরু করলেন

আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি।ফাইল ছবি

ফর্সা চেহারার একজন ঝাঁকড়া কালো চুল নিয়ে উইং দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন, ড্রিবল করে মন্ত্রমুগ্ধ প্রতিপক্ষকে কাটাচ্ছেন—ফুটবলের অসাধারণ দৃশ্যগুলোর মধ্যে এটা ওপরের দিকেই থাকবে। শ্মশ্রুহীন চেহারার সঙ্গে ঝাঁকড়া চুল, আগে লিওনেল মেসির ‘স্টাইল’ অনেকটা এমনই ছিল। বছরের পর বছর ধরে সেই ছেলের খেলার স্টাইলটা বদলায়নি মোটেও। বদলেছে শুধু তাঁর নিজের ‘স্টাইল।’

‘ক্লিন শেভড’ মেসি এখন নিয়মিত দাড়ি রাখেন। মাঝে সে দাড়িতে রংও করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে দাড়ি রাখার এত শখ কেন হলো সর্বকালের অন্যতম সেরা এই তারকার?

ব্যাপারটা পুরোপুরি পৃষ্ঠপোষকসংক্রান্ত। আগে পুরুষদের প্রসাধনসামগ্রী বিক্রেতা কোম্পানির মুখপাত্র ছিলেন মেসি। তাঁদের সন্তুষ্ট করতেই দাড়ি চেঁছে রাখতেন সব সময়!

মেসিকে একসময় এভাবেই দেখা যেত।
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ওলে’কে আজ একটা লম্বা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। খেলার মাঠের ভেতর ও বাইরের অনেক প্রসঙ্গ উঠে এসেছে তাতে। উঠে এসেছে দাড়ি রাখা-না রাখার প্রসঙ্গও। আগে কেন দাড়ি রাখতেন না, আর এখন কেন রাখেন, ভক্তদের মনে ওঠা সে প্রশ্নের জবাব এত দিনে এসে দিয়েছেন মেসি।

‘আমি দাড়ি কেন রাখি? আমি আগে জিলেটের (পুরুষদের প্রসাধনসামগ্রী বিক্রেতা কোম্পানি) মুখপাত্র ছিলাম। তারা আমাকে যত বেশি সম্ভব শেভ করতে বলত। ক্লিন শেভড থাকতে বলত। তাই আমি অনেক দিন ধরে ক্লিন শেভড থাকতাম।’

কিন্তু জিলেটের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পরেই নিজের ‘লুক’ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ইচ্ছা হয় মেসির। আগে পৃষ্ঠপোষকের বাধ্যবাধকতা ছিল, এখন নেই। মেসি দাড়ি রাখবেন না-ই বা কেন? সেটাই জানিয়েছেন সাক্ষাৎকারে, ‘কিন্তু জিলেটের সঙ্গে চুক্তি যখন শেষ হলো, আমি ভাবলাম, শেভ করা বন্ধ করা যাক। আমি তখন দাড়ি রাখা শুরু করলাম। তবে দাড়ি যখন বেশি বড় হয়ে গিয়ে যন্ত্রণা দেওয়া শুরু করে তখন আমি দাড়ি কাটি।’