‘মোটু ফুটবলটা ভালো খেলে’

সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন নেইমারছবি: রয়টার্স

আরেকটু সম্মান তাঁর প্রাপ্য। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল তাঁর। ব্রাজিলের জার্সিতেই তাঁর চেয়ে গোল বেশি মাত্র একজনের, পেলে। তবু নেইমার ঠিক ব্রাজিলিয়ানদের মন জিততে পারেননি কখনো। তাঁর পায়ের ঝলকে মাঝেমধ্যে মুগ্ধ হলেও, তাঁর চরিত্রের দিকগুলো নিয়ে বরাবরই একটু বেশি আলোচনা হয়। আজ বাংলাদেশ সময় ভোরে হওয়া পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এমন ম্যাচেও সমালোচনা হলো!

এ কারণে সমর্থকদের কাছ থেকে শ্রদ্ধা চাইছেন নেইমার। এমন কথা শুনলে মনে হতেই পারে, মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্ত এই তারকা। কিন্তু তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখলে অন্তত তেমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সমালোচকদের খোঁচা দিয়ে বেড়াচ্ছেন নেইমার।

জাতীয় দলের হয়ে নেইমারের ৬৯তম গোল
ছবি: রয়টার্স

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের এবারের রাউন্ডের প্রথম ম্যাচের পরও একটু সমালোচনা হয়েছিল নেইমারের। বাছাই পর্বে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ব্রাজিল সে ম্যাচে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল। সে ম্যাচে আলোচনা হয়েছিল নেইমারের ভুঁড়ি নিয়ে। কোপা আমেরিকা ফাইনালের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল নেইমারের কিছু ছবি। টুর্নামেন্ট শেষে ছুটির আমেজে থাকা নেইমার একটু আয়েশি জীবন কাটাচ্ছিলেন, আর তাতে বেশ দৃশ্যমান একটা ভুঁড়িও হয়েছিল তাঁর।

এরপর পিএসজির অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন নেইমার। এক ম্যাচে খেলেছেনও ক্লাবের হয়ে। কিন্তু চিলির বিপক্ষে মাঠে নামার পরও নেইমারকে দেখে এমনই বেঢপ লাগছিল যে মনে হচ্ছিল ভুঁড়িটা ছুটির সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নেয়নি।

ব্রাজিলের জার্সিতে বরাবরই আলো ছড়ান নেইমার
ছবি: রয়টার্স

২৯ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড অবশ্য ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভুঁড়ি নিয়ে হাসি-তামাশা আর সমালোচনার জবাব দিয়েছেন, ‘জার্সিটা ছিল “জি” (ইউরোপিয়ান “এল” সাইজ) আকারের। আমি আমার সঠিক ওজনেই আছি। পরের ম্যাচে আমি আমার জন্য “এম” সাইজের জার্সি বানাতে বলব।’ বার্তাটির পাশে বেশ কয়েকটি হাসির ইমোজি।

আর্জেন্টিনার সঙ্গে ‘এম’ সাইজের জার্সি পরে নেমেছিলেন কি না, সেটা বোঝার আগেই গন্ডগোল লেগে গিয়েছিল। ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্যসেবা তদারকি সংস্থা আনভিসা, আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে আটকাতে গিয়ে ম্যাচই থামিয়ে দিল।

সে কারণে আর নেইমারকে ওভাবে দেখার সুযোগ মেলেনি। আজ পেরুকে হারানোর ম্যাচে নেইমার গোল করেছেন, রেকর্ড ভেঙেছেন। এরপর ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ছবি দিয়েছেন। স্টোরিতে জার্সি তুলে নিজের মেদহীন পেট দেখিয়ে লিখেছেন, ‘মোটু ফুটবলটা ভালো খেলে।’

একসঙ্গে দুই ধরনের সমালোচনার জবাব দিয়ে দিলেন নেইমার। নিজের শারীরিক অবস্থা কেমন, সেটা ছবি দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন। নিজের ফিটনেস প্রমাণ করেছেন। আবার গোল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এখনো যদি তাঁকে মোটা মনেও হয়, সমস্যা নেই। কারণ, মোটা হয়েও যদি এভাবে খেলা যায়, তাহলে আর সমস্যা কোথায়!