মোহনবাগানের বিপক্ষে ‘সুযোগ’ কাজে লাগাতে পারবে বসুন্ধরা?

রাউল বেসেরা নিষ্প্রভ ছিলেন কালছবি: এএফসি ওয়েবসাইট

মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসকে ২-০ গোলে হারিয়ে এএফসি কাপে বসুন্ধরার শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। সে জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে পারেনি তারা। কাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা করেছে গোলশূন্য ড্র। আশার কথা হলো টুর্নামেন্টের ৪ দলের মধ্যে বসুন্ধরায় একমাত্র দল যারা এখনো গোল খায়নি।

রবসন ডি সিলভা কাল নিজের কারিশমা দেখাতে পারেননি
ছবি: এএফসি ওয়েবসাইট

কাল বসুন্ধরার ড্রয়ের পর অন্য ম্যাচে মাজিয়ার বিপক্ষে মোহনবাগান জিতেছে ৩-১ গোলে। ফলে পরবর্তী রাউন্ড আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে খেলতে ২৪ আগস্ট মোহনবাগানের বিপক্ষে জিততেই হবে বসুন্ধরাকে। অন্যদিকে ড্র করতে পারলেই পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত হবে কলকাতার ক্লাবটির। গ্রুপের বাকি দু দল এরই মধ্যে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাব।

বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে হারতেও পারত বসুন্ধরা
ছবি: এএফসি ওয়েবসাইট

কাল বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৬০ মিনিট পর্যন্ত ভালো ফুটবলই খেলেছে বসুন্ধরা। এর পরে খেই হারিয়ে ফেলে অস্কার ব্রুজোনের দল। শেষ ৩০ মিনিট বসুন্ধরার ওপর দিয়ে একটা ঝড়ই বয়ে গিয়েছে। ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়াটাই বসুন্ধরার জন্য স্বস্তির। ম্যাচ শেষে এএফসির ওয়েসবাইটের সঙ্গে আলাপকালে ব্রুজোন বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ড্রতেও নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, ‘আজকের ( কাল) ফলাফল আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। খেলায় আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম, ড্রতেই ভালো হয়েছে।’

ম্যাচ নিয়ে তাঁর মন্তব্য , ‘গোলের সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল। আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছি। ৬০ মিনিট খেলাটি আমাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এটা সত্য যে শেষ ২৫ মিনিট তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়েছিল। বেঙ্গালুরু সেট পিস থেকে সুযোগ তৈরি করেছে। ওপেন প্লে থেকে কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ’

রক্ষণের দৃঢ়তায় এএফসি কাপে এখনো পর্যন্ত গোল খায়নি বসুন্ধরা।
ছবি: এএফসি ওয়েবসাইট

গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে পরবর্তী রাউন্ডের টিকিটের জন্য জয়ের কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের। জিতে সে সুযোগটি কাজে লাগানোর স্বপ্ন ব্রুজোনের , ‘বসুন্ধরা এখনো টুর্নামেন্টে টিকে আছে এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার জন্য আরও একটি সুযোগ আছে। আমরা সেই বড় সুযোগটা কাজে লাগাতে চাচ্ছি।’

টুর্নামেন্টের ৪ দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত বসুন্ধরায় একমাত্র দল যারা কোনো গোল হজম করেনি। এটাকে দলের জন্য ভালো মনে করছেন ব্রুজোন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দুই ম্যাচে আমরা কোনো গোল হজম করেনি। সেটা দলের জন্য খুবই ভালো কিছুর কথায় বলছে।’

বসুন্ধরার ফরোয়ার্ডরা বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ছিলেন নিষ্প্রভ
ছবি: এএফসি ওয়েবসাইট

প্লেঅফ পর্ব পেরিয়ে আসা বেঙ্গালুরু এক ম্যাচ হাতে রেখেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলেও দলের ওপর সন্তুষ্ট তাদের প্রধান জার্মান কোচ মার্কো পেজাউওলি। তিনি বলেন ,‘৯ দিনের মধ্যে এটা আমাদের তৃতীয় ম্যাচ এবং আমি মনে করি এই গরম আবহাওয়ার বিবেচনায় আমার ভালো খেলেছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বসুন্ধরাকে একটি সুযোগও দেয়নি। বরং আমরা অনেকগুলো গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলাম।’

ব্যক্তিগতভাবে টুর্নামেন্টের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন ভারত ও বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে হতাশ সুনীল , ‘এটি সত্যিই খুব হতাশার। কারণ টুর্নামেন্টটির জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম। সেটি পিস থেকে আমরা অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছিলাম। তার একটি কাজে লাগাতে পারলেও বিষয়টি অন্য রকম হতে পারত।’